৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে তৃতীয় ধাপে দ্বিতীয় দফায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের হলরুমে জমির দলিল ও ঘরের চাবি উপকারভোগীদের হাতে তুলে দেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।

সারাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা কর্তৃক ২৬ হাজার ২২৯টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর কার্যাক্রমের অংশ হিসেবে তারাগঞ্জ হলরুমে শুভ উদ্বোধন করা হয়।

জেলা প্রশাসক ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান লিটন, ইউএনও রাসেল মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস্ চেয়ারম্যান বায়েজিদ বোস্তামী, সাবিনা ইয়াছমিন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) ইলোরা ইয়াছমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আলী হোসেন, উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও পাঁচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ উপকারভোগীরা।

তৃতীয় ধাপে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭টিসহ তারাগঞ্জে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে চার শত ৭টি পরিবার জমিসহ ঘর পেয়েছে।

পরিবারগুলোর হাতে উপজেলা পরিষদের হলরুমে জমির দলিল ও ঘরের চাবি তুলে দেওয়া হয়।

চাবি হাতে পেয়ে জেলেখা বেগম বলেন- আল্লায় দেলে শেখের বেটি মোক পাকার ঘর, জমি দেইল। মুই এখন শান্তিতে নিন পাইরার পাইম। যায় মোক ডাকে আনি ঘরের চাবি, দলিল দেইল তার আল্লাহ ভালো করবে। মুই সবার জন্যে দোয়া করিম।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান বলেন- ‘যাদের আশ্রয় ছিল না, ভূমিহীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাদের ঘর দিয়েছে। গোটা দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছে। তাঁর হাতকে শক্তিশালী করার সবার দায়িত্ব।

ইউএনও রাসেল মিয়া বলেন- এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকা করা হয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মাণে দুই লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে।

এ সময় রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আসহসান বলেন- গরিব, ভূমিহীন, আশ্রয়হীন দুস্থ মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুণর্বাসন করা শুরু করেছিলেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

তিনি শুরু করেছিলেন বলেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যারা উপকারভোগী আছেন তাদের ঘর নির্মাণ করে জমিসহ পৌঁছে দিতে পেরেছি। দেশ আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হওয়ার পথে। এর পুরো কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।