রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ অপরাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গৌরিপাড়া যমুনা নদীর ধারে গত ১ যুগ আগে ফুলবাড়ী পৌরসভা কর্তৃক প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কসাইখানা নির্মাণ করলেও সেখানে কসাইয়েরা নিয়মিত দোকান বসালেও বর্তমানে সেখানে আর মাংস বিক্রির কোন দোকান নেই। সেই জায়গা পর্যায়ক্রমে একটি কু-চক্রী মহল দখল করে নিচ্ছে। ফলে সেখানে আর কসাইখানা নেই। শহরে প্রায় ৩০টি পয়েন্টে মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে।
সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই দোকানগুলিতে কসাইয়েরা চৌকি বিছিয়ে দেধারছে মাংস বিক্রয় করছে। কসাইয়েরা গরু ক্রয় করে এনে কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই নিজ নিজ স্থানে কখন কিভাবে জবাই করছে তা দেখার কেউ নেই। সেই মাংসগুলি এনে টাঙ্গিয়ে বিক্রয় করছে। এর মধ্যে অনেকে ভালো গরু খাওয়ার উপযোগী এসব গরু জবাই করে মাংস বিক্রয় করছে। আবার আড়ালে অনেকে কম দামের গরু রোগাক্রান্ত ক্রয় করে এনে জবাই করে বিক্রয় করছে।
এভাবে ফুলবাড়ীতে যত্রতত্র ভাবে গরু জবাই করে নিজ নিজ স্থানে কোন কসাই মাংস বিক্রয় করছেনা। এই কসাই খানাটি নির্মানে ব্যয় হলেও এক সময় ব্যবহার হত। কিন্তু এক যুগ পরে এই কসাই খানাটি ব্যবহার না হওয়ায় এখন কেউ কেউ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এরা সমাজের কোন কোটিপতি নয় আবার সমাজে কোন ভালো কাজও করতে দেয়না। তারাই এই কসাই খানাটি দখলের প্রতিযোগিতায় রয়েছে। এই কসাই খানাটি পূর্বের ন্যায় সংস্কার করে সেখানে সকল কসাইদেরকে একত্রিত করে আগের মত কসাই খানাটি চালু করা গেলে শহরের আনাচে কানাচে মাংস বিক্রয় করা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারন মানুষ এক জায়গা থেকে হালাল মাংস কিনতে পারবে। সাধারণ মানুষ জানতেও পারছে না কসাইদের এই জবাই করা গরুর মাংস খাওয়ার উপযোগী কিনা ? প্রাণী সম্পদ বিভাগের লোকজন সেদিকেও কোন লক্ষ্য রাখছে না।
উপজেলা প্রশাসনের আইন শৃঙ্খলা কমিটিতে খোলা বাজারে মাংস বিক্রয়ের বিষয় নিয়ে একাধিকবার কথা উঠলেও কে শোনে কার কথা? ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র কশাই খানাটি চালুর উদ্দ্যোগ নিলেও এখন আর তার প্রতি কোন গুরুত্ব নেই। পুরাতন এই কসাই খানাটি চালু করতে স্থানীয় বিভিন্ন মহল পৌরসভা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।