সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩০ অপরাহ্ন
হাসানুর কাবীর মেহেদী- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জলঢাকা থানার ডি এস বির এস.আই জহুরুল ইসলাম। হাতের মেহেদীর রং না শুকাতেই একটি ঘাতক বাস শেষ করে দিল এই নব বিবাহিত পুলিশ কর্মকর্তার সংসার।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন তেল পাম্পের সামনে ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নিহত হন মোটর সাইকেল আরোহী নববিবাহিত পুলিশ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম (৩৮) ও তার বন্ধু সুজন(৪০)।
সেই দিন রাত ২টার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহতের মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে এলে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে চারপাশের পরিবেশ। এদিকে বিয়ের কয়েক ঘণ্টার মাথায় স্বামীকে হারিয়ে নির্বাক নববধূ ও তার পরিবারের লোকজন।
নিহত পুলিশ কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর জয়নগর গ্রামের আফার উদ্দিনের ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি নীলফামারীর ডিএসবির জলঢাকা জোনে উপ পরিদর্শক (এসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তার বন্ধু মোনাইম খয়েরবাড়ি মির্জাপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি ফুলবাড়িতে একটি ঔষুধ কোম্পানির রিপেজেন্টিভ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিয়ে করতে গত (৩০ সেপ্টেম্বর) ৭ দিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন জহুরুল। সোমবার (২ অক্টোবর) রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের বানাহার গ্রামের রুমা আক্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। পরদিন মঙ্গলবার সকালে বন্ধু সুজনকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে রাজশাহীর বিশেষ দায়রা জজ আদালতের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে যান তিনি। সাক্ষ্য শেষে বাড়ি ফিরছিলেন তারা।
পথে বিরামপুর সরকারি কলেজ সংলগ্ন তেল পাম্পের সামনে ঘোড়াঘাট-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে দিনাজপুর থেকে ছেড়ে আসা নওগাঁগামী ওমর ফারুক পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাস তাদের মোটসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে জহিরুল ও সুজন ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাদের দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ঘাতক বাসটিকে জব্দ করেছে পুলিশ।