বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৪৫ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলের গুরুত্বপূর্ণ অতি মূল্যবান জমি একের পর এক দখল ও বানিজ্যে মেতেছেন স্থানীয় কতিপয় ভূমিদস্যু ও রেল কর্মকর্তা কর্মচারীদের সিন্ডিকেট। ২০১৭ইং সালে দূদকের গণশুনানীতে রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পদ বেহাতের অভিযোগ আমলে নেয় দূদক। দূদক ঘটনাটি তদন্তপূর্বক স্থানীয় সরকার দলীয় শ্রমিক নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনসহ সৈয়দপুরের কিছু বিশিষ্ট বড় বড় ব্যবসায়ীকে নোটি করে দূদক কার্যালয়ে তলব করেন।
নোটিশ প্রাপতির পরেও স্থানীয় ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের রেল বিভাগের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ও তাদের সিন্ডিকেট সদস্যদের রাজনৈতিক প্রভাবে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশন করতে গেলে সিন্ডিকেটের হাতে তারাও হচ্ছে লাঞ্ছিত। সর্বশেষ এই সকল দখলবাজী ও দূর্নীতি বন্ধ করতে মহামান্য আদালতেও একটি রীট পিটিশন মামলা দায়ের হয়। মামলায় স্থানীয় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজসহ একাধিক ব্যাক্তি ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মহামান্য আদালত।
গত ২৭শে জুলাই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে রেলের অনিয়ম দূর্নীতি ও রেলের দূর্নীতিগ্রস্থ বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলার তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ ও রেল মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে অভিযুক্ত ব্যাক্তি সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুল মোমিনসহ ভূমিদস্যুদের কবলে সৈয়দপুর রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পত্তি গ্রাসকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশাল মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন হওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও টনক নড়েনি রেল প্রশাসনের। উক্ত আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সৈয়দপুরের সচেতন নাগরিক সমাজ এবার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে ও রেলের জমিতে শত শত অবৈধ বহুতল ভবন রাষ্ট্রে বরাবর বায়েজাপ্ত ঘোষণা করে রেলের আয় বৃদ্ধি কল্পে সৈয়দপুরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দূর্নীতিবাজ সেই সকল ব্যাক্তি ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিলবোর্ড আকারে দাবী তুলে ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ওয়াপদা মোড়ে লাগিয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থালে ছবি তুলতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও উক্ত মোড়ে চলাচলকারী জনসাধারন বিলবোর্ড পড়ে সেই দাবীর সাথে নিজেদের একাত্মতা ঘোষনা করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উক্ত এলাকার এক ব্যাক্তি জানান- ৭১ এ আমার বাবা বিহারী রাজাকারের হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন, আমার বাবার দোষ ছিলো তিনি জয় বাংলা শ্লোগান দিয়েছিলেন। দেশ স্বাধীনের পরে আমরা দেশপ্রেমিক বাবার আত্মত্যাগের কথা চিন্তা করে সরকারী কোন জমি দখল করিনি।
আরেক মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ক্ষোভের সাথে জানান- আমার বাবা রেলের কর্মচারী ছিলেন, তিনি রেলকে ভালবেসে চাকুরী শেষে করে রেলের সকল সম্পদ রেলকে বুঝিয়ে দিয়ে তার নিজের বাড়ি চলে গেছেন তার সেই রেখে যাওয়া রেল কোয়ার্টার ও তার সামনের জমি দখল করে স্থানীয় সরকার দলীয় নেতা ভূমিদস্যুদের সাথে হাত মিলিয়ে বিশাল মার্কেট বানিয়েছে।
সচেতন নাগরিক সমাজের নের্তৃবৃন্দ জানান- রেল কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে পরবর্তীদের আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com