সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
আল মামুন মিলন- পার্বতীপুর(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ডিস ব্যবসার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যকর পিপুল হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। পরিবারের দাবি হত্যাকান্ডটিকে
ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। রোববার দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত ডিস ব্যবসায়ী মাহফুজ আলম পিপুল(৩৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
জানা যায়, পিপুল হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরপরই তড়িঘড়ি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পিপুলের শ্বশুরপক্ষের স্বজনদের হাতে লাশ স্বাভাবিকভাবে হস্তান্তর করে। পিপুলের বড়ভাই তয়েজউদ্দিন (৬০) জানায়, আমি ডিউটি থেকে ফিরে এসে দেখি, ছোট ভাইয়ের লাশ বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা চলছে কোন রকম সুরতহাল রিপোর্ট বা ময়নাতদন্ত ছাড়াই।
অন্যান্য ভাইদের সাথে পরামর্শ করে হাসপাতাল এবং জিআরপি থানায় খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি, মামলার কোন রকম ডকেট সংযুক্তি ছাড়াই হাসপাতালে চিকিৎসা করা হয়েছে। এক পর্যায়ে আমরা জিআরপি রেলওয়ে থানার উপর চাপ সৃষ্টি করলে তারা আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসা লাশ পার্বতীপুর থেকে ময়নাতদন্তের জন্য পুনরায় দিনাজপুর নিয়ে যায়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, জিআরপি থানায় মামলা হলে শেষ পর্যন্ত পিপুলের লাশের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত করেছে পুলিশ। মামলার বাদী নিহতের বড়ভাই তয়েজ উদ্দিন জানান, ১৪ ফেব্রæয়ারী দিবাগত রাতে আমার ভাই পিপুলকে তুলে নিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্র বদ্ধভূমিতে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও নির্যাতন চালিয়ে অজ্ঞান করে হাত-পা বেঁধে বদ্ধভূমি সন্নিকটস্থ বাগানে কাঁটার উপরে ফেলে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। আমরা খোঁজা-খুজির পর পরদিন সকালে তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।
আহত ভাইয়ের জ্ঞান ফিরলে তার বর্ণনা মোতাবেক সেলিম(৪০), পলাশ(৪৫), রমজান(৩০), হিরু(৩২) ও লালু(৩৫) কে আসামি করে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করি। ইতোমধ্যে আমার ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বিষয়টি নিয়ে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজল হকের সাথে কথা হলে ঘটনা প্রবাহের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমি প্রচন্ড অসুস্থ অবস্থায় ছুটিতে রয়েছি এবং ডাক্তারখানায় এসেছি, থানায় ফিরলে কথা হবে।