রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ অপরাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
সাবেক ছাত্রনেতা ও রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খান ‘দাদা ভাই’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া-ইন্না ইলাইহি রাজি’উন)। তিনি দেশের রাজনীতির ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আজ শুক্রবার ৯ই জুন বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজুল আলম খানের ব্যক্তিগত সহকারি মোঃ রাসেল। তিনি বলেন, দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে মারা যান তিনি। তার মরদেহ শমরিতা হাসপাতালে রয়েছে। আগামীকাল শনিবার সিরাজুল আলমের মরদেহ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদের নেতৃত্বে ষাটের দশকের প্রথমার্ধে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ বা স্বাধীনতার ‘নিউক্লিয়াস’ গঠিত হয়। পরে ছাত্র-তরুণদের আন্দোলন সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তারা। বঙ্গবন্ধুরও ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে ছিলেন এই ছাত্রনেতারা।
দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ভেঙে দু’ভাগ হয়। এরপর ১৯৭২ইং সালে সিরাজুল আলম খানের উদ্যোগে রাজনৈতিক দল জাসদ প্রতিষ্ঠা হয়। তিনি কখনও নেতৃত্বে না এলেও জাসদ নেতাদের পরামর্শক হিসেবে তাদের ‘তাত্ত্বিক গুরু’ হিসেবে পরিচিত। তাকে সবাই ‘দাদা ভাই’ নামেই ডাকেন।
এছাড়াও ‘অভ্যুত্থান’ এর নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ছিলেন সিরাজুল আলম খান। সিরাজুল আলম খান ভিন্ন ভিন্ন তিন মেয়াদে প্রায় সাত বছর কারাভোগ করেন।
সিরাজুল আলম খান কখনও জনসমক্ষে আসতেন না এবং বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন না; আড়ালে থেকে তৎপরতা চালাতেন বলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ‘রহস্য পুরুষ’ হিসেবে তিনি পরিচিত।
সিরাজুল আলম খানের জন্ম নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার আলীপুর গ্রামে, ১৯৪১ইং সালের ৬ই জানুয়ারী। তার বাবা খোরশেদ আলম খান ছিলেন স্কুল পরিদর্শক। মা সৈয়দা জাকিয়া খাতুন, গৃহিণী। ছয় ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।
দাদা ভাই‘র মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে নিয়ে আলমারকাজুলে গোসল করিয়ে, শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে আজ রাখা হবে। আগামীকাল সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বায়তুল মোকাররমে দক্ষিণ গেটে রাখা হবে। অতঃপর সকাল ১০টায় জানাজা। দাদার অনুসারী, ভক্ত, অনুরাগী, স্বাধীনতার সকল শক্তিকে তাঁর নামাজে জানাজায় শরীক হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।