শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০০ অপরাহ্ন
শাকিল ইসলাম- ক্রাইম প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের রুপালি কেশবার কয়েটি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা চাড়ালকাটা নদীর উপর চকচকার বাঁশের সাঁকোটি। বিকল্প পথ দীর্ঘ এবং বিড়ম্বনা রোধে বাঁশের চাটাই বিছানো সাঁকোয় যাতায়াতই একমাত্র ভরসা। অনেক সময় সাঁকো ভেঙ্গে দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।
স্থানীয়দের উদ্যোগে প্রতি বছর সাঁকোটি নির্মান করা হয়। শুষ্ক মৌসুমে নদীর তলদেশের জোড়াতালি সাঁকো দিয়ে কিছু সময় চলাচল করা যায়। বর্ষাকালে সাঁকো বিহীন জীবনে নেমে আসে অবর্ণনীয় দূর্ভোগ। এ দূর্ভোগের শেষ হবে কবে তো কেউ জানে না।
সরেজমিনে দেখা যায়- কেশবাসহ কয়েকটি গ্রামের কোলঘেঁষে বয়ে যাওয়া চাড়াল কাটা নদী ওই এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার একমাত্র ফসলি জমি মূল ভূ-খন্ড থেকে বিভক্ত করে ফেলেছে। পাশাপাশি বিভক্ত করে ফেলেছে পার্শ্ববর্তী পুটিমারী ইউনিয়নের নিকটতম যোগাযোগ ব্যবস্থাকে। ওই সাঁকো দিয়ে চলে না কোন যানবাহন। সেতু না থাকায় জমিচাষা, উৎপাদিত কৃষিপণ্য বহন,মালামাল বহনে ভোগান্তি ও অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে।
কোন কারণে সাঁকো দিয়ে আসা সম্ভব না হলে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে উপজেলা পরিষদের সামন দিয়ে কিশোরগঞ্জ বাজার হয়ে ওই সাঁকো এলাকার গ্রামবাসীকে গ্রামে আসতে হয়। অথচ নদীর উত্তর তীরবর্তী সাঁকো এলাকার ২০০ গজ পেরুলে মূল সড়ক। অপর দিকে পুটিমারী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবি, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীর স্ব-স্ব গন্তব্যে পৌঁছানো ওই ঘাট দিয়ে চলাচল সহজ এবং নিকটতম। বছররের অনেকসময় সাঁকো না থাকায় হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, থানা, মেডিকেল পশু হাসপাতালে ২ কিলোমিটার স্থলে ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। তাই বাঁশের সাঁকো পরিবর্তে ঘাটে উপর একটি সেতু নির্মানের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকাবাসী।
কেশবা গ্রামের আপিজার রহমান বলেন- উত্তর পারে জনগুরুত্বপূর্ণ থানা, মেডিকেল, স্কুল- কলেজ, কেজি স্কুল, সরকারি ব্যাংক, বীমা, এনজিও, মাদ্রাসা হাট-বাজার, জনবসতি সবই আছে। এপারেও স্কুল ও মানুষের বসতি রয়েছে। কাজের প্রয়োজনে দুই পারে মানুষই পারাপার হয়। কিন্তু জনগুরুত্বপূর্ণ ওই স্থানে আজও সেতু নির্মিত না হওয়ায় কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
পুটিমারী ভেড়ভেড়ি গ্রামের আব্দুল জলিল বলেন- নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে এই এলাকার জনসাধারণ উপজেলা সদরসহ অন্যান্য ইউনিয়নের সঙ্গে সহজে চলাচল সুবিধা পেতে। উৎপাদিত ফসল সহজে ঘরে উঠাসহ বাজারে আনা নেওয়া করা যেত।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বাবু বলেন- এই সেতুটি নির্মান করা হলে কয়েটি গ্রামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে যেমন অন্যদিকে এলাকাবাসী কষ্ট অনেকাংশে লাগব হবে।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মাহামুদুল হাসান বলেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য যদি মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার দেয় তাহলে সরেজমিনে তদন্ত করে সেতু নির্মানের বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হবে।