মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইল কৃষি ও কারিগরি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্নীতি অনিয়ম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগের কপি সুত্রে জানা গেছে, কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষ যোগসাজশে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন। গোপনে নিয়োগ দেওয়ার ছক তেরী করে যে পত্রিকা নড়াইলে আসে না সেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন অধ্যক্ষ বাবু রমেশ বিশ্বাস। শুধু তাই নয় পরিক্ষার কোরাম পূরনের জন্য কলেজে কমিটির সদস্য’র এক ছেলেকে ফোলক্সি দেওয়ার জন্য আবেদন ও করিয়েছে।
সুদক্ষ ভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার জন্য মোটা অংকের টাকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাঁপ করে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রত্রিকায় নিয়োগ প্রকাশের বিষয়টি জানাজানি না করার জন্য কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের। যার ফলে স্থানীয় অনেক সৎ, যোগ্য মেধাবী চাকরি প্রত্যাশী এলাকায় থাকা সত্বে ও তারা আবেদন করতে পারিনি। অনেকে আবেদনের বিষয় জানতে কলেজে গেলে তাদের কলেজ কতৃপক্ষ নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু বলেনি।
নিয়মনীতির কোন রকন তোয়াক্কা না করে খামখেয়ালী ভাবে কলেজ পরিচালনা করেছেন এই মহা মানব। বিগত সময়ে কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিকট হতে বিভিন্ন সেকশনে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে এই সিটি কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সময়ে কলেজটি এমপিও হওয়ায় তার অনেকটা দৌরাত্ম কমেছে। সিটি কলেজে চাকরি করলে ও সব খবরদারি তার কারিগরি এই কলেজে। নিজের রাজত্ব ধরে রাখতে কলেজে নামমাত্র রমেশ বিশ্বাসকে অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে রেখেছে। অপরদিকে তার নিজ এলাকার নলদীচর গ্রামের ভগিরত চন্দ্র বিশ্বাসকে সভাপতির আসনে বসিয়ে সকল কার্য সুসম্পূর্ণ করছে। কোন রকম ভাবে কাগজে কলমে ধরতে পারা যাবে না এই শিক্ষক কে।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সিটি কলেজের শিক্ষক সসীম বিশ্বাস,বলেন, আমি ওই কলেজের প্রতিষ্ঠা। কাগজে কলমে কলেজের কোন কিছু আমি নই।
নড়াইল কৃষি ও কারিগরি কলেজের সভাপতি ভগিরতচন্ত্র বিশ্বাস বলেন, নিয়ম মেনে পত্রিকায় সার্কুলার দেওয়া হয়েছে। গোপনে কোন কাজ করা হয়নি।
নড়াইল কৃষি ও কারিগরি কলেজে অধ্যক্ষ রমেশচন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দু’টি কাগজে সার্কুলার দেওয়ার কথা দুটি কাগজে দেওয়া হয়েছে। কলেজে কোন তথ্য গোপন করা হয়নি।