শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:২৪ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
নড়াইলে পুলিশের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত র‌্যাব-১১ এর অভিযানে ২৫ মামলার আসামী গ্রেফতার পীরগঞ্জে এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচী বিভাগের দাবিতে কুমিল্লায় শিক্ষার্থীদের মিছিল ও সমাবেশ নড়াইলের নড়াগাতী গ্রেপ্তার ২ রংপুরে নারী সাংবাদিককে হেনস্থা ও হুমকির অভিযোগ পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধনে এসপি রবিউল ইসলাম রাণীশংকৈলে নারী ফুটবল দলকে গণসংবর্ধনা রাণীশংকৈলে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন সততার আলো থাকলে সেফ এক্সিটের দরকার পড়বে না- রিজভী নিরাপদ চলাচলের জন্য ড্রেনের ওপর স্লাব স্থাপন এশিয়ান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড টেকঅ্যাওয়ে অ্যাওয়ার্ডস পেলো ন্যু ডেলি ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ প্রাপ্তদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ব্যাংকিং সেক্টরে অবৈধ নিয়োগ বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন সোহেল হত্যা মামলার দুই আসামী সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে আটক আওয়ামী সিন্ডিকেটের বলয়ে এখনো বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হাকিমপুরে আবাসিক এলাকায় মুরগির খামার, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে প্রতিবেশী লালমনিরহাটে ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক রংপুর প্রেসক্লাবে সদস্য অন্তর্ভুক্তিতে কোন বাঁধা নেই রসিকের প্রধান নির্বাহী’র অপসরণের দাবি

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে- প্রাচীন ঐতিহ্য “মাটির বাড়ি”

আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে একসময় মাটির বাড়ি ছিল আর্থিক সংগতি ও সামাজিক প্রতিপত্তির প্রতীক।এখন আধুনিকতার উৎকর্ষ আর কালের আবর্তে প্রাচীন এ ঐতিহ্য গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।উচ্চ থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন শৈল্পিক চিত্রে মাটির প্রলেপে নানাবিধ আল্পনায় বাঁশ, খড় ও কাঠ দ্বারা তৈরি করত এক তল-দ্বিতল মাটির বাড়ি। এসব বাড়িতে থাকত বহু কামরা বা কোঠা

তার উপরে থাকত টিন বা ছনের ছাউনী। আর দক্ষিণা দুয়ারী ঘরে বনবন করে বাতাস প্রবেশ করত। তাতে যেন প্রাণটা শীতল করে দিত।শীতকালে গরমের আভা। গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড দাবদাহে ক্লান্তি দূর করার জন্য আহা! কি অপার শান্তির ছাঁয়া। যা পরিচিত ছিল এসি’ খ্যাত মাটির বাড়ি। গ্রামীণ জীবনে বসবাস করার জন্য মাটির বাড়ি ছিল তুলনাহীন। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়ে যাওয়ায় গড়ে উঠেছে ইট-পাথরের দালান বাড়ি।

রঙ্গিন দুনিয়ায় রঙ্গমঞ্চে মাটির ঘর ভেঙে ইট-পাথর ও টাইলসের সমন্বয়ে গড়ছেন নান্দনিক বাড়ি। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির বাড়ি। ২০ গ্রামেও এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ভার। কালেভদ্রে উপজেলার নিতাই পানিয়াল পুকুর কাচু পাড়া গ্রামে দু‘টি মাটির ঘর চোখে পড়ে।

এসময় বসতবাড়ির মালিক বলাই মামুদ জানান- যদিও পাকাবাড়ি করার সামর্থ্য হয়নি। তবুও মাটির বাড়িতেই যেন লুকিয়ে আছে মমতাময়ী মায়ের শান্তি আঁচল।আগে অনেকেই মাটির বাড়িতে বসবাস করত।এখন সবাই পাকা বাড়ি বানায়ছে। তাতে বৈদ্যুতিক ফ্যান এসি ছাড়া বসবাস করা দুষ্কর।

স্থানীয় বয়োবৃদ্ধরা জানায়- ২০-২৫ আগে গ্রাম-গঞ্জে এমনকি শহরে বসবাসকারীরা মাটি-বাঁশ ও কাঠের সমন্বয়ে গড়ে তুলতেন মাটির বাসস্থান। এঁটেল ও বেলে মাটির মিশ্রণে তৈরী হতো মাটির বাড়ি। একটি মাটির বাড়ি তৈরী করতে সময় লাগত ছয় মাসেরও বেশি। সামর্থ্য অনুযায়ী মাটির বাড়িকে কেউবা বানাত দ্বিতল পর্যন্ত। বাড়ি তৈরী শেষে খড়ের চালা ও টিন দেওয়া হত ছাদে। বিভিন্ন নকশা ও মনোমুগ্ধকর কারুকার্য দিয়ে দর্শনীয় করে তুলত সেসব বাড়ি। পথচারীদের দৃষ্টি আর্ষণ করার জন্য বাইরের দেয়ালে ছাপানো হত নানা রকম নকশা।

এছাড়াও বাড়ির প্রাচীরটাও দেওয়া হতো মাটি দিয়ে। বাড়ির আঙ্গিনায় ও চারপাশে লাগানো থাকতো নানা ধরনের বনজ-ফলদ ওষুধি গাছ। বাড়ি পাশে লাগানো হত নানা ধরনের বৃক্ষ। যার সুশীতল ছায়ায় বাড়ি থাকতো ঠিক এসির মতো ঠান্ডা। জমিদাররাও মাটির বৈঠকখানায় বসে চালাতেন আমোদ-প্রমোদসহ বিচারিক কার্যক্রম।

এখন প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে দালান বাড়ি বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। যেন পুরনো ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে নতুন আঙ্গিকে গড়তে চায় নিজেদের। সময়ের ব্যবধানে আধুনিকতার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে সেইসব মাটির বাড়ি। কলির যুগ আসাই এ ধরনের অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো আর কিছুদিন গেলে মাটির বাড়ি সম্পর্কে জানবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com