মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
নড়াইল-যশোর মহাসড়কে দুর্ঘটনায় পুলিশের এসআইসহ নিহত ৩ পুঠিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা পুঠিয়া কান্দ্রা কলাবাগান থেকে এক ভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধার র‌্যাব-১৩ এর অভিযানে দিনাজপুরে গাঁজাসহ গ্রেফতার ২ ছেলের চুরির অভিযোগে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা গ্রেফতার-৫ নড়াইলে মোটরসাইকেল ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ লক্ষ্মীপুরে নজরুলের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকতার শুদ্ধ চর্চায় অঙ্গীকারবদ্ধ পীরগাছা প্রেসক্লাব রংপুরে “জুলাই অভ্যুত্থান ও শ্রমজীবীদের হিস্যা” শীর্ষক আলোচনা দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করা হবে- সহকারী পুলিশ সুপার ধুনটে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন নড়াইলের নবাগত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম “প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ” র‍্যাব-১১ এর অভিযানে কুমিল্লায় ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার নীলফামারীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্প ফুলবাড়ীতে আবাসিক হোটেলে চলছে অনৈতিক কর্মকান্ড নড়াইলে ডিবি পুলিশের অভিযানে ইয়াবা সহ গ্রেফতার ১ ফুলবাড়ীতে গাছের চারা বিতরণ বয়স ৭০, রিকশার প্যাডেলে তার জীবনযুদ্ধ খুন হওয়া ইরফানের পিতাকে তারাগ‌ঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের ভ্যান প্রদান

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে- প্রাচীন ঐতিহ্য “মাটির বাড়ি”

আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে একসময় মাটির বাড়ি ছিল আর্থিক সংগতি ও সামাজিক প্রতিপত্তির প্রতীক।এখন আধুনিকতার উৎকর্ষ আর কালের আবর্তে প্রাচীন এ ঐতিহ্য গ্রাম-বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।উচ্চ থেকে নিম্নবিত্ত পরিবারের লোকজন শৈল্পিক চিত্রে মাটির প্রলেপে নানাবিধ আল্পনায় বাঁশ, খড় ও কাঠ দ্বারা তৈরি করত এক তল-দ্বিতল মাটির বাড়ি। এসব বাড়িতে থাকত বহু কামরা বা কোঠা

তার উপরে থাকত টিন বা ছনের ছাউনী। আর দক্ষিণা দুয়ারী ঘরে বনবন করে বাতাস প্রবেশ করত। তাতে যেন প্রাণটা শীতল করে দিত।শীতকালে গরমের আভা। গ্রীষ্মকালের প্রচন্ড দাবদাহে ক্লান্তি দূর করার জন্য আহা! কি অপার শান্তির ছাঁয়া। যা পরিচিত ছিল এসি’ খ্যাত মাটির বাড়ি। গ্রামীণ জীবনে বসবাস করার জন্য মাটির বাড়ি ছিল তুলনাহীন। কিন্তু বর্তমান সময়ে প্রায় মানুষের আর্থিক সংগতি বেড়ে যাওয়ায় গড়ে উঠেছে ইট-পাথরের দালান বাড়ি।

রঙ্গিন দুনিয়ায় রঙ্গমঞ্চে মাটির ঘর ভেঙে ইট-পাথর ও টাইলসের সমন্বয়ে গড়ছেন নান্দনিক বাড়ি। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে প্রাচীন ঐতিহ্য মাটির বাড়ি। ২০ গ্রামেও এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া ভার। কালেভদ্রে উপজেলার নিতাই পানিয়াল পুকুর কাচু পাড়া গ্রামে দু‘টি মাটির ঘর চোখে পড়ে।

এসময় বসতবাড়ির মালিক বলাই মামুদ জানান- যদিও পাকাবাড়ি করার সামর্থ্য হয়নি। তবুও মাটির বাড়িতেই যেন লুকিয়ে আছে মমতাময়ী মায়ের শান্তি আঁচল।আগে অনেকেই মাটির বাড়িতে বসবাস করত।এখন সবাই পাকা বাড়ি বানায়ছে। তাতে বৈদ্যুতিক ফ্যান এসি ছাড়া বসবাস করা দুষ্কর।

স্থানীয় বয়োবৃদ্ধরা জানায়- ২০-২৫ আগে গ্রাম-গঞ্জে এমনকি শহরে বসবাসকারীরা মাটি-বাঁশ ও কাঠের সমন্বয়ে গড়ে তুলতেন মাটির বাসস্থান। এঁটেল ও বেলে মাটির মিশ্রণে তৈরী হতো মাটির বাড়ি। একটি মাটির বাড়ি তৈরী করতে সময় লাগত ছয় মাসেরও বেশি। সামর্থ্য অনুযায়ী মাটির বাড়িকে কেউবা বানাত দ্বিতল পর্যন্ত। বাড়ি তৈরী শেষে খড়ের চালা ও টিন দেওয়া হত ছাদে। বিভিন্ন নকশা ও মনোমুগ্ধকর কারুকার্য দিয়ে দর্শনীয় করে তুলত সেসব বাড়ি। পথচারীদের দৃষ্টি আর্ষণ করার জন্য বাইরের দেয়ালে ছাপানো হত নানা রকম নকশা।

এছাড়াও বাড়ির প্রাচীরটাও দেওয়া হতো মাটি দিয়ে। বাড়ির আঙ্গিনায় ও চারপাশে লাগানো থাকতো নানা ধরনের বনজ-ফলদ ওষুধি গাছ। বাড়ি পাশে লাগানো হত নানা ধরনের বৃক্ষ। যার সুশীতল ছায়ায় বাড়ি থাকতো ঠিক এসির মতো ঠান্ডা। জমিদাররাও মাটির বৈঠকখানায় বসে চালাতেন আমোদ-প্রমোদসহ বিচারিক কার্যক্রম।

এখন প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে দালান বাড়ি বানানোর জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছেন বাসিন্দারা। যেন পুরনো ঐতিহ্যকে জলাঞ্জলি দিয়ে নতুন আঙ্গিকে গড়তে চায় নিজেদের। সময়ের ব্যবধানে আধুনিকতার ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে সেইসব মাটির বাড়ি। কলির যুগ আসাই এ ধরনের অবস্থার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হয়তো আর কিছুদিন গেলে মাটির বাড়ি সম্পর্কে জানবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com