সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৩ অপরাহ্ন
উজ্জ্বল রায়- নড়াইল জেলা প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের কোটাকোল ইউনিয়নের মাইগ্রামের মোঃ বাচ্চু শেখ এর মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ষা(১৯) তার বয়ফ্রেন্ডের দেওয়া অশ্লীল ছবি পেয়ে লজ্জার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
১৫ই এপ্রিল শুক্রবার বিকাল আনুমানিক ৩টার দিকে নতুন নির্মাণাধীন ঘরের রডের সাথে নিজ ওড়না পেঁচিয়ে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ষা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়- জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ষা খুলনার বয়রা মহিলা কলেজ এর ছাত্রী, সে এবছর ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেছে।
নিহত জান্নাতুল ফেরদৌস বর্ষার পরিবার সূত্রে জানা যায়- দীর্ঘদিন যাবৎ মল্লিকপুর ইউনিয়নের পাচুড়িয়া গ্রামের থান্দারপাড়ার শহিদুল থান্ডারের ছেলে তাসরিফ থান্ডারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন,এর কিছুদিন পর বিষয়টি দুই পরিবারের মাঝে জানাজানি হয়।
এসময় নিহত বর্ষার বড় ভাই দাউদ শেখ বিষয়টি বর্ষাকে বুঝিয়ে মানানোর চেষ্টা করেন- কিন্তু তাসরিফ কোনভাবেই বর্ষার পরিবারের কথা শোনেন নাই। উল্টে তাদের আরো বিভিন্ন ভয়-ভীতি দিয়েছেন।
নিহত বর্ষার বড় ভাই দাউদ শেখ বলেন- আমি পাঁচ ছয় মাস আগে জানতে পারি যে তাসরিফ নামে একটি ছেলের সাথে আমার বোনের প্রেমের সম্পর্ক হয়েছে, পরবর্তীতে বোনকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু বোন লজ্জার ভয়ে তার ছবিগুলোর কথা আমাদের সাথে শেয়ার করতে পারে নাই,সর্বশেষ ১৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার তাসরিফ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে স্ক্রিনশট মেরে আমার বোনের কিছু অশ্লীল ছবি তার বান্ধবীদের ফোনে দেয়।
তখন বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়।
দাউদ আরও বলেন যখন আমরা আমার বোনের বান্ধবীর মোবাইল থেকে ওই অশ্লীল ছবি গুলো দেখতে পেয়েছি তখন আমার বোন বিষয়টি জানতে পেরে লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন।
তাসরিফ আমার বোনের এই নগ্ন ছবি সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল করবে বলে বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়েছে বর্ষাকে। আমার বোনের মৃত্যুর জন্য তাসরিফ দায়ী আমরা তাসরিফ এর বিচার চাই, আর যেন কোন মা-বাপ তার সন্তান না হারাই আর যেন কোন ভাই তার বোন না হারাই।
এই আত্মহত্যার বিষয়ে তাসরিফের সাথে তার বাড়িতে যেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায় নাই, তখন তার মায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন যা হইছে হোক আপনারা চলে যান আমরা দেখবনি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবু হেনা মিলন জানান- লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করলে আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।