শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৮ পূর্বাহ্ন
মোস্তফা মিয়া- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
পীরগঞ্জে গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সত্ত্বেও ওয়াক্তিয়া মসজিদ ভেঙ্গে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসায়।
এলাকাবাসী জানায়- প্রায় ১ যুগ পূর্বে ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারী খাস জমিতে এলাকাবাসীর আর্থিক সহায়তায় ১টি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণ পূর্বক গ্রামবাসী ব্যবহার করে আসছিল। সম্প্রতি ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার সুপার একেএম শহিদুল ইসলামসহ মাদ্রাসার এ্যাডহক কমিটি ওই ওয়াক্তিয়া মসজিদ ভেঙ্গে ভেলে গেইট নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলে গ্রামবাসী তীব্র প্রতিবাদ জানায়। গ্রামবাসীর প্রতিবাদ সত্ত্বেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই স্থানে খোয়া, ইট, বালু মজুদ করে রেখেছেন। গ্রামবাসীর ধারণা যেকোন মুহূর্তে ওয়াক্তিয়া মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন মুহূর্তে বাধতে পারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।
শুক্রবার ২৭শে মে বাদ জুম্মা সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ছাতুয়া গ্রামের ছহির প্রধান, মহিবর রহমান, রফিকুল ইসলাম, মাহবুব রহমান ও মনিরুল ইসলামের সঙ্গে। তারা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মসজিদটিতে আমাদের ছেলে মেয়েরা আরবী শিক্ষা গ্রহণ করে আসছে। তাছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ আমরাও বরাবর নামাজ আদায় করে আসছি। মাদ্রাসার গেইট করার জায়গাতো অনেক আছে, তারপরও ওয়াক্তিয়া মসজিদটি ভাঙ্গতে হবে কেন? তা আমাদের বোধগম্যে আসেনা। তাছাড়া মসজিদের ওই ৬ শতাংশ জমিটি সরকারী খাস।
এ ব্যাপারে ছাতুয়া দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসা সুপার একেএম শহিদুল ইসলাম জানান- আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নহে। পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিরোদা রাণী রায় বলেন, বিষয়টি আপনার কাছেই জানলাম। কোন অভিযোগ পাইনি, তবুওখোজ নড়িয়াছি।