বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০১ অপরাহ্ন
আবুল কাশেম- সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাসহ উপজেলার নতুন নতুন অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। ফলে সময়ের সাথে সাথে বন্যায় বিশ্বনাথ উপজেলা ও পৌর এলাকার ক্ষয়ক্ষতি বেড়েই চলছে। বন্যার কারণে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার প্রায় ২৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছেন।
এলাকার রাস্তা-ঘাট, বাড়ি-ঘর, হাট-বাজার, মসজিদ, স্কুল-কলেজ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার পাশাপাশি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে ভেসে গেছে অনেক ফিসারি ও পুকুরের মাছ। তাছাড়া ব্যাপক গতিগ্রস্থ হয়েছে পাকা ধানসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির বাগানের চাষাবাদকৃত জমি।
এদিকে, লামাকাজী ইউনিয়নের মাহতাবপুর এলাকায় নদীর তীরে চলমান ব্লক বসানোর কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার (সঠিক সময়ে ব্লক না বসানোর ফলে) কারণে বন্যার পানিতে ভেঙ্গে অনেক বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে বন্যার পানিতে পৌর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণের বসতঘর নিমজ্জিত হওয়ার কারণে পরিবার পরিজনের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু নিয়েও বিপাকে রয়েছেন মানুষজন।
সরেজমিনে উপজেলা ও পৌর শহরের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হওয়ার কারণে বন্যা পরিবর্তি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে হিমশিম খেতে হবে। আর বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ও প্রবাসীদেরকে এগিয়ে আসা জরুরী।
ইতিমধ্যে বন্যা কবলিত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সামাজিক সংগঠক। বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী এহিয়া, জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক নুশরাত জাহান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকারসহ নেতৃবৃন্দ।
প্রথম দিকে উপজেলার লামাকাজী, খাজাঞ্চী ও অলংকারী ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হলেও পর্যায়ক্রমে রামপাশা, দৌলতপুর ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। আর বন্যার পানিতে নিমজ্জিল এলাকার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা ও অসুস্থ ব্যক্তিরা পড়েছেন বিপাকে।
সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদী, খাল-বিলের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি দূর্ভোগ বৃদ্ধি পাবে। পানি বৃদ্ধির ফলে ইতিমধ্যে সড়ক দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে জনসাধারণকে ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা-ভোরা।