বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
মাহাবুব আলম- ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে উপজেলায় বিক্ষোভ প্রদশর্ন করে ছাত্রসহ বিভিন্ন হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নাগরিক।গত ৫ আগষ্ট প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগের পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়ি-ঘর মন্দির, ভাঙচুর অগ্নিসংযোগ চালায় আন্দোলন কারীরা। লুটপাটের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। হিন্দুদের উপর নিপীড়ন বন্দের দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে নাগরিক আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণার হুশিয়ারী দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
শনিবার (১০ আগষ্ট) পৌর শহরের ডিগ্রি কলেজ মাঠে জমায়েত হয় ১০-১৫ হাজার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। পরে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বিভিন্ন ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়। পরে ডিগ্রি কলেজ মাঠে শহীদ মিনারে উপস্থিত বক্তব্য দেন, উপজেলা নিবার্হী কমকর্তা রাকিবুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার সার্কেল ফারুক হোসেন, ক্যাপ্টেন মুহতাশিন, হিন্দু- বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি প্রাণ গোবিন্দ সাহা বাচ্চু, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ছবি কান্ত দেব, সম্পাদক সাধন কুমার বসাক প্রমুখ।
এসময় সাধন কুমার বসাক বলেন,বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতীমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মা-বোনদের ধর্ষণ করা হয়। দেশত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়। রাতের আঁধারে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।বিগত দিনে হওয়া হিন্দু নির্যাতনের কোনো বিচার না হওয়ায় নির্দ্বিধায় এই নারকীয় কর্মকাণ্ড চালিয়েছে এর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় ছবি কান্ত দেব বলেন, ‘প্রতিটি রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর যেভাবে অত্যাচার-নিপীড়নসহ মন্দির ভাঙচুর করা হয়, এটার প্রতিবাদ জানানোর জন্যই আমরা আজকে এখানে সবাই একত্রিত হয়েছি। ’ বিভিন্ন স্থানে মন্দির, প্রতীমা, হিন্দুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেন তিনি।