রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১৬ অপরাহ্ন
হারুন-অর-রশিদ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গংগাচড়া উপজেলার খলেয়া খাপড়ীখাল স্কুল এন্ড কলেজে উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য, জনপ্রতি পনেরো শত থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের নিকট আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে- প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট উপবৃত্তি কর্মসূচির আওতায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অর্থ আদায় করা যাবে না, কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপবৃত্তির তালিকাভুক্ত করতে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পনেরো শত থেকে দুই হাজার টাকা নিচ্ছেন।
অভিযোগ পাওয়া পর দৈনিক আলাপন পত্রিকার সাংবাদিক রিয়াদুন্নবী রিয়াদ (ছন্দবেশে অভিভাবক হয়ে) কল দিলে কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর বলেন- আপনি যত গরিব হন না কেন আপনি উপবৃত্তি করতে হলে ১৫০০ টাকা দিতে হবে। ফরম পুরন করতে হবে অনলাইন খরচ আছে। অফিসের অফিস স্টাফকে দেওয়া লাগবে তাই পনেরো শত টাকা ছাড়া উপবৃত্তি হবে না। সরজমিনে যেয়ে টাকা নেওয়ার কথা জাহাঙ্গীর হোসেনকে বললে তিনি টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন।
উপজেলার খলেয়া খাপড়ীখাল স্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বলেন- আমাদের কাছ থেকে উপবৃত্তি করে দেওয়ার জন্য পনেরো শত থেকে দুই হাজার পর্যন্ত টাকা নিচ্ছেন এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও বলেছেন, আমাদের কাছ থেকে ও উপবৃত্তি নাম অন্তর্ভুক্ত করার সময় দুই হাজার টাকা নেওয়ার হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক শিক্ষার্থী জানান- আমি নিজে কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালাই। উপবৃত্তির জন্যে যে টাকা চাচ্ছে তা দেওয়া খালি আমার পক্ষে নয় কলেজে অনেক শিক্ষার্থীর দেওয়া সম্ভব নয়।
কয়েকজন অভিভাবক বলেন- দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দিতে সেখানেও চাঁদা দিতে হবে আমাদের। আমরা দরিদ্র মানুষ কোথায় যাব। খলেয়া খাপড়ীখাল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ জালাল উদ্দিন সাথে মোবাইল যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ নাই। এবং সরেজমিনে বক্তব্য নেওয়া জন্য খলেয়া খাপড়ীখাল স্কুল এন্ড কলেজ এ গেলে তিনি দুপুর ১.২০ মিনিটে কলেজ ছুটি দিয়ে স্টাফসহ কলেজ থেকে বেড়িয়ে গেছেন। তাকে কলেজে পাওয়া না গেলে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনাজ বেগম বলেন- উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে কোনো টাকা নেওয়ার বিধান নেই। যাদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন- এ ব্যাপারে আমি মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি উপবৃত্তির তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে যদি কোনো প্রতিষ্ঠানের টাকা নিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।