শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫০ অপরাহ্ন
শাহরিয়ার কবির আকন্দ- গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপর সেনা সদস্য কর্তৃক অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ই জুলাই বিকেলে পলাশবাড়ী প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা শ্যামলী আক্তার তার লিখিত বক্তব্যে বলেন- আমি আমার পরিবার পরিজন নিয়ে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছি।
প্রতিপক্ষগংদের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আমাদের জীবন নাশের হুমকি-ধামকি এবং মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোর চেষ্টা করে আসছিল।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ই জুলাই সকালে মৃত আবতাব হোসেন খোকার পুত্র মোকলেছুর রহমান তুফান ও তৌফিকুর রহমান রিফাত গং আমাদের ভোগ দখলীয় জমিতে থাকা গাছের ডালপালা কাটিয়া ৪ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
আমরা প্রতিপক্ষদের বাঁধা নিষেধ করিলে তারা আমাকে সহ আমার বৃদ্ধ মাতা, ছোট ভাই ও আমার ছেলেকে মারডাং করে।
এ ঘটনায় আমার ভাই আনারুল ইসলাম থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রতিপক্ষদের বাঁধা নিষেধ করলে দুপুর ১.৪৫ ঘটিকার সময় আমি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পলাশবাড়ী থানাধীন প্রেস ক্লাব রোডে বেগম রোকেয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাছে উপস্থিত হলে সকল প্রতিপক্ষগণ আমাদের চারপাশ থেকে ঘিরিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমাদেরকে মারডাং করিয়া থেতলানো ফুলা জখম করে।
এ সময় আমার ভাই আনারুল ইসলাম, মাতা সুফিয়া বেগম, ছেলে লিয়ন শেখ ও আকাশ মিয়া গুরুত্বর জখম হয়। প্রতিপক্ষগণ আমার ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও কানে থাকা ৪ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের দুল ছিরিয়া নেয়। লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করিয়া পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।
উক্ত ঘটনায় ১৪ জুলাই পলাশবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করি, যার মামলা নং- ১৩। উক্ত মামলা দায়েরের পর হতে মামলার আসামীগণ প্রকাশ্য ঘোড়াফেরা করলেও অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার না করায় আমার পরিবারের সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসন সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।