শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন
আব্দুর রহমান ঈশান- নেত্রকোণা জেলা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণায় যমজ শিশুকে রেখে গৃহবধূকে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়েছে যৌতুকলোভী স্বামী। অবশেষে পুলিশের সহায়তায় মায়ের কোলে ফিরল যমজ শিশু।
স্বামী ফারুক মিয়ার মারধরে অসুস্থ দুই সন্তানের জননী মৌসুমীকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ১০ মাস বয়সি যমজ শিশু মোহাম্মদ পারভেজ তোহা এবং মোহাম্মদ পারভেজ মোদাচ্ছেরকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছে নেত্রকোণা মডেল থানার পুলিশ।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে- নেত্রকোনা জেলা শহরের মইনপুর গ্রামের সৈয়দ ইসহাক মিয়ার মেয়ে মৌসুমী আক্তার ও ফারুক মিয়ার সঙ্গে দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে যমজ সন্তানের জন্ম হয়।
বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকলোভী স্বামী বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিয়ে মৌসুমীকে মারধর করত। গত ১৫ মার্চ মৌসুমী তার মা-বাবার কাছে মারধরের বর্ণনা দিয়ে টাকা জোগাড় করে দিতে বললেও তার বাবা টাকা দিতে ব্যর্থ হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুক মিয়া মৌসুমীকে মারধরের করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
অভিযোগ পেয়ে নেত্রকোনার মডেল থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক মিয়ার বাড়ি থেকে যমজ শিশুদের উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে মৌসুমীর কোলে ফিরিয়ে দেন।
জানতে চাইলে গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার বলেন- প্রায়ই আমাকে যৌতুকের জন্য মারধর করে। আমার বাবা টাকা দিতে না চাইলেই নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এখন আমাকে ও আমার সন্তানকে মেরে ফেলার হুমকিও দিচ্ছে। এ বিষয়ে ফারুক মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন- যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে মারধর করে ১০ মাস বয়সি যমজ শিশুদের আটকে রাখার বিষয়টি খুবই বেদনাদায়ক। অভিযোগ পেয়ে যমজ শিশুদের দ্রুত উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।