রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন
হুজ্জাতুল ইসলাম- গলাচিপা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রামনাবাদ নদীর উপর চলতি অর্থ বছরেই সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা এমপি।
তিনি বলেন- এবছরের মধ্যেই গলাচিপা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। তখন জোয়ার ভাটায় চলাচলে আর কোন অসুবিধা হবে না। মাত্র পঁচিশ মিনিটে পটুয়াখালী শহরে এবং পাঁচ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা শহরে যাওয়া যাবে।
সোমবার ১৫ই আগস্ট সকালে গলাচিপা পৌর মঞ্চে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে এবং সভা পরিচালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা টিটো।
এস এম শাহজাদা বলেন- সেদিন ১৫ই আগস্ট বাঙালি জাতির জন্য একটি কলঙ্কিত সূর্য উদিত হয়েছিলো। এমন একটি শোক বাঙালি জাতির উপর চাপিয়ে দিয়েছিলো সারাবিশ্বের দেশবিরোধী চক্রান্তকারীরা।
আমাদের স্বপ্নের পুরুষ, বাঙালি জাতির স্রষ্টা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, লাখো কোটি মানুষের বজ্র কন্ঠ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সেদিন তারা সূর্য ওঠার আগেই হত্যা করেছিলো। হত্যাকান্ডে উপস্থিত ছিলো দেশি বিদেশি সামরিক বাহিনী ও চক্রান্তকারীরা এবং বাংলাদেশর কিছু কুখ্যাত রাজনীতিবিদরা।
তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু অবিচ্ছেদ্য এক নাম। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে যেমন বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না তেমনি ভাবে বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে চিন্তা করা যায় না।
ছোটবেলা থেকে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন ভালো সংগঠক ও প্রতিবাদী কিশোর। তিনি খোকা থেকে শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, এবং বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হয়েছেন। বাঙালি জাতীর অধিকার আদায়ের জন্য শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার সর্বস্ব ত্যাগ করে বাঙালি জাতির জন্য কাজ করেছেন।”
এই সাংসদ আরো বলেন- আমরা এমনি এক মীরজাফর জাতি তার প্রতিদান হিসেবে ১৯৭৫ইং এর ১৫ই আগস্ট তাকে সপরিবারে হত্যা করেছি। বাংলার ৫৫ হাজার বর্গমাইলের থেকেও বৃহৎ হৃদয়ের একটি মানুষকে খুন করে তার প্রিয় সিড়ির উপরে ফেলে দিয়েছি।
তার পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তানকে পর্যন্ত হত্যা করেছি, তার নিকটাত্মীয়দের পর্যন্ত রেহাই দেয়া হয় নাই, যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আর দাড়াতে না পারে, বাঙালি জাতি যেন বাঙালি বলে পরিচয় দিতে না পারে, ভবিষ্যতে কোন নেতৃত্ব যেন না থাকে। এমনকি বিদেশে থাকা তার দুইকন্যাকে হত্যার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করেছিলেন, অহিংস রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা তাই করছেন আমরা তারই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করছি। গলাচিপায় আমি অহিংস রাজনীতি শুরু করেছি, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে একমঞ্চে আজকে এই শোকসভা করছি। দল এখন অন্যসময়ের থেকে ঐক্যবদ্ধ তাই তিনি দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করতে সবাইকে সতর্ক করেন।
এছাড়া তিনি বলেন- বাংলাদেশ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী পদক্ষেপে, সারাবিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ হয়েছে। যারফলে মাত্র সাড়ে পাঁচ ঘন্টার মধ্যে ঢাকা থেকে গলাচিপা-দশমিনায় আসা সম্ভব হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও সাহায্য সহোযোগিতার কথা তুলে ধরে তিনি জনগণের নিকট আহ্বান করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে নির্বাচিত করার।