নুরকাদের সরকার ইমরান- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডোমারে সন্তানের পিতৃ পরিচয় ও স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য স্বামীর বাড়িতে ১ম স্ত্রীর অবস্থান।

আজ শুক্রবার ১৫ই জুলাই সকালে উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের শেওটগাড়ী গ্রামের আজিজুল হক’র ছেলে শাহজাহান সিরাজ সুজন(৩২) এর বাড়িতে দিনাজপুর জেলা’র পার্বতীপুর উপজেলার শিবরামপুর ইউনিয়নের সোলায়মান মন্ডলের মেয়ে মরিয়ম আক্তার মৌ(২৬) সন্তানের পিতার পরিচয় ও স্বামীর অধিকার আদায়ের জন্য স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

ভুক্তভোগী মরিয়ম আক্তার মৌ বলেন- সুজনের সাথে প্রথম ২০১২ইং সালে মোবাইলে পরিচয় হয়।এই পরিচয় প্রেমে রুপ নেয়। পরে ২০১৪ইং সালে মুসলিম শরিয়ত মোতাবেক তিনি আমাকে ঢাকার একটি কাজী অফিসে বিয়ে করেন।

আমরা বেশকিছু দিন ঢাকায় রুম ভাড়া নিয়ে একসাথে থাকি এবং আমি চাকরি করে আমার স্বামীর পড়াশোনার খরচ চালাই, সেসময়ে আমার গর্ভে সন্তান চলে আসে পরে আমি আমার স্বামীর গ্রামের বাসায় ২০১৪ সালে চলে আসি এবং স্বামীর সাথে ১৮ দিন তাদের বাসায় থাকি।

সেটা এলাকার অনেকেই জানেন এর পরে আমার শ্বাশুড়ি আমার উপরে টাকার জন্য টর্চার করিলে আমার মা ৪০ হাজার টাকা দিয়ে আমাকে নিয়ে যায়।আমি আমার বাবার বাড়িতে সন্তান প্রসব করি।পরে আমি আমার স্বামীকে ফোন করিলে জানতে পারি তার মা শরিফা বেগম তাকে জোরপূর্বক অন্য এক মেয়ের সাথে বিয়ে দেন।

ওই মেয়ের বয়স অনেক বেশি বলে ওকে ছেড়ে দিয়ে আমাকে নিয়ে আসবে বলে বিভিন্ন তালবাহানা করে আসছে আমার স্বামী। আমার মেয়ে এবং আমার খবর নেয়না এমনকি আমাদের ভরনপোষণও দেয়না। আমার মেয়েটা এখন পর্যন্ত ওর বাবাকে চিনেনা। আমাকে প্রশ্ন করে আমার বাবা আসেনা কেন।

আমি কিছু বলতে পারিনা শুধু কাদি। আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসতে বিলম্ব করিলে এবং পরিশেষে আমাকে হুমকি দেয় তোকে নিবোনা তোর কিছু করার থাকিলে করতে পারিস তাই আমি বাধ্য হয়ে তাহার বাড়িতে আমার মেয়ে সহ অবস্থান নেই।

আমি আমার মেয়ের বাবার পরিচয় এবং আমার স্বামীর অধিকার ফিরিয়ে চাই তাই প্রশাসন সহ এলাকাবাসী সকলের সহযোগিতা চাই।

ভুক্তভোগীর স্বামীর ফোন বন্ধ থাকায় তাহার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায় মরিয়ম আক্তার মৌ এর আগে ওই বাড়িতে বউয়ের দাবি নিয়ে এসেছিলেন এবং বেশকিছু দিন ছিলেন।

হরিনচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল রানা বলেন- মেয়ে পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি।