সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্ক।
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বেলা ১০টা ৩০ মিনিটে গিয়ে দেখা যায় অনুপস্থিত শিক্ষক দুই। আজ মঙ্গল বার (১২ মার্চ)-২৪ইং উপজেলার হাতীবান্ধা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় উক্ত বিদ্যালয়ে কর্মরত ৫ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩ জন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের পাঠদানে শ্রেণি কক্ষে ছিলেন। অন্য দুই শিক্ষক বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত।
সহকারি শিক্ষকগণের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক মোছাঃ সাহিদা বেগম তিন দিন ধরে বিদ্যালয়ে আসেন নাই। অন্য আরেক জন সহকারি শিক্ষক শামীমা আক্তার দোলা বেলা ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। প্রধান শিক্ষকের সাথে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি রাস্তায় আছি আসতেছি। প্রধান শিক্ষক ১০.৪০টায় বিদ্যালয়ে এসে সহকারি শিক্ষক শামীমা আক্তারকে মোবাইল ফোন কল দিয়ে ডেকে নেন। শামীমা আক্তার বিদ্যালয়ে এসে হাইকোর্ট এর আদেশের কথা বলে প্রধান শিক্ষকের সাথে আচরনবিধি লঙ্ঘন করে বিদ্যালয়ে না আসার বিষয়ে কারন দেখান।
দাপ্তরিক ভাবে বিদ্যালয় বন্ধ নয়, আপনি কোন বিধি মোতাবেক নিজ খেয়ালে বিদ্যালয়ে আসেনি এবং ১১টা ৪৩ মিনিটে এসে নিয়মিত সময় ৯টায় উপস্থিতি স্বাক্ষর করেন, প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ শাহজিদা বেগমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। প্রধান শিক্ষক সাহিদা বেগম ছুটিতে ছিলেন না মর্মেও তিনি নিশ্চিত করেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা অফিস স্বাক্ষাতে শিক্ষকগণেরে বিষয়ে বলেন, আপানরা(সাংবাদিক) দরখাস্ত করেন আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিবো। অভিযুক্ত শিক্ষকদ্বয়ের দাপ্তরিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাংবাদিককে দরখাস্ত করতে হবে- উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মুখে এমন নতুন কথা শুনে বিষয়টি সাংবাদিকদের ভাবিয়ে তুলেছে!