মঙ্গলবার, ০৮ Jul ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
উজ্জ্বল রায়- নড়িইল জেলা প্রতিনিধিঃ
বৃটিশদের শাসনামলে নির্মিত হয় তুলারামপুর সরদারভিটা জামে মসজিদ। তুলারমপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় পুরাতন মসজিদ এটি। এ আগে এ ইউনিয়নে তরফদার বাড়ি জামে মসজিদটি নির্মান হয়। যা শের শাহ শাসনামলে। তরফদার বাড়ি জামে মসজিদ নির্মানে অনুপ্রানিত হয়ে তুলারামপুর গ্রামের ধার্মিক ব্যক্তিত্ব দলিল উদ্দিন মোল্য ১৮৮৯ সালে ৪ শতক জমির উপর উপরে খড় ও চার পাশে মাটির ওয়াল করে ছোট পরিসরে এ মসজিদটি নির্মান হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তান শাসনামলে স্থানীয় গ্রামবাসিদের সহযোগিতায় উপরে টিন এবং পাকা ওয়াল দিয়ে মসজিদটি সম্প্রসারণ করা হয়।
এ সময় মসজিদটিতে ইমামসহ ২৭ জন মুসল্লি নামায আদায় করতে পারতেন। তৎকালিন সময়ে জনবসতি কম থাকায় ২৭জন মুসল্লিকে শুক্রবার বাদে পাওয়া যেত না বলে এলাকার প্রবীনরা জানিয়েছেন। তারা আরো বলেছেন, ঘন বন জঙ্গলে ভরা এলাকাতে নির্মিত সে সময়কার মসজিদে মুসল্লিরা নামায আদায় করতে আসবেন এটা ভাবাই যেত না। পাকিস্তান শাসনামলে থেকে এ গ্রামে বসতি বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে মসজিদে এসে নামায আদায় করা মুসল্লিদের সংখ্যা। আবারও ২০০০ সালের দিক স্থাণীয় গ্রামবাসি মসজিদের প্রয়োজনীতা অনুভব করে সিদ্ধান্ত নেন মসজিদটি পূণঃনির্মানের জন্য। গ্রামবাসিদের সাহায্য-সহযোগিতায় ও পরে আরো ৩ শতক জমি বাড়িয়ে ৭ শতক জমির উপর মসজিদটি একতলা ভবন নির্মান করা হয়।
সর্বশেষ ২০১৮ সালের শুরুতে স্থাণীয় জনগণ আবারও মসজিদটি দ্বিতল ভবন নির্মান কাজ করে। বর্তমানে মসজিদটির একতলার ফ্লোরে এবং বাইরের ওয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে টাইলস স্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দ্বিতল ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। মসজিদটি দ্বিতল ভবনের ওয়ালে চলছে টাইলস এর কাজ। মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ এটি দর্শনীয় হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয়রা জানান।
তুলারামপুর দক্ষিনপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার ইমদাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুর্ব পুরুষ ছিলেন মসজিদ প্রতিষ্ঠাতা। মসজিদটি নির্মানের সময় এখানে অল্প জনবসতি ছিল। শুধু তাই নয় বর্ষা মৌসুমে পানিতে থৈথৈ করতো। এ কারনে উচু ভিটার উপর মসজিদটি নির্মান করা হয়।
তিনি আরো বলেন, মসজিদটি তুলারামপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় মসজিদ। মসজিদটির দ্বিতল ভবন নির্মান সম্পন্ন হলে ১’শ মুসল্লি এক সাথে নামায আদায় করতে পারবেন। বর্তমানে আমাদের ইউনিয়নে ৯টি মসজিদ নির্মান হলেও আমাদের মসজিদটি প্রতিষ্ঠাতা হয়ে বৃটিস শাসনামলে। আমার বাবা ও দাদা এ মসজিদে নামায আদায় করে গেছেন। আমি ও আমার সন্তান বর্তমানে নামায আদায় করছি। যা ভাগ্যের ব্যপার।
তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই এ মসজিদটি নির্মিত হওয়ার কারণে বিভিন্ন সময় এর উন্নয়নে স্থানীয়দের নিয়ে কাজ করে আসার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। এর আগে আমার পিতা আব্দুর রাজ্জাক মোল্যাও এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনিও মসজিদ উন্নয়নে কাজ করেছেন। স্থানীয়দের সাহয্য সহনুভুতির মাধ্যমে মসজিদটির নির্মান কাজ শেষ করছি। মসজিদটি বাইরে ও ভিতরে টাইলস দিয়ে দর্মনীয় করে তোলার হয়েছে।