নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকায় তৈরি হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন উপজেলা প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম। নির্মানাধীন ভবন দুটির কাজ শেষ হলে উপজেলাবাসী ১৭টি দপ্তরের সেবা একই ভবনে পাবে বলে আশা করেন নীলফামারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর।

জানা যায়- ১০৯৭ সালে জলঢাকা ও ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনিক ১৭টি দপ্তরের অবকাঠামো গুলো নির্মান করা হয়। প্রশাসনিক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় অধিকাংশ দপ্তরে কক্ষ-সংকুলান না হওয়া সহ দীর্ঘদিনের এই ভবনগুলো হয়ে পড়েছে ঝুকিপূর্ণ ও ব্যবহার অযোগ্য। ঝুঁকিপূর্ণ এই অবকাঠামো গুলোতে দাপ্তরিক কর্মকান্ড চালানো ও সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি সেবা গ্রহীতারাও দূর্ঘটনা আতঙ্কে থাকতো। আর এই দুর্ঘটনা এড়াতে ও সেবা সম্প্রসারণে বর্তমান সরকার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা প্রদানের লক্ষে নির্মান করা হচ্ছে ৪ তলা বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন প্রশাসনিক ভবন।

জেলা এলজিইডি সূত্রমতে- উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ২য় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় উপজেলার এই ৪ তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে ব্যায় ধরা হয়েছে প্রায় ১১কোটি টাকা। নির্মানাধীণ উপজেলার প্রশাসনিক বহুতলা ভবন ও হলরুমের নির্মান কাজ প্রায় ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

নির্মানকাজের কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাইড ইঞ্জিনিয়ার কর্মরত জিয়াউল হক বলেন- নির্মানাধীন ভবনের প্রদত্ত ড্রইং এবং ডিজাইন অনুযায়ী কাজ করতে গিয়ে কিছু-কিছু আইটেম এস্টিমেট এর চেয়ে কম আবার কিছু আইটেম স্টিমেটে না থাকায় ২০২১ইং সালের ২০শে ডিসেম্বর ভবনের রিভাইজড এস্টিমেট সাবমিট করি। কিন্ত অদ্যবদি রিভাইজডএস্টিমেট পাশ না হওয়ায় এবং নির্মান সামগ্রীর দাম চড়া হওযায় অতিরিক্ত অর্থ ব্যায় নিয়ে চিন্তিত আমরা।

নীলফামারী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি’র) নির্বাহী প্রকৌশলী সুজন কুমার কর বলেন- গুগতমান বজায় রেখে দৃষ্টিনন্দন উপজেলা প্রশাসনিক ভবনের নির্মাণ কাজ শেষ হলে একই ভবন থেকে উপজেলার ১৭টি সরকারি দপ্তরের সেবার সুফল ভোগ করবে উপজেলা বাসী।