নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
১৯৭৫ইং সালের ৩০শে আগষ্ট সন্ধ্যায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে নিহত নীলফামারী জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার ৩১শে আগস্ট দুপুরে জেলা যুবলীগের আয়োজনে শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কৃষিবিদ দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক, সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও ইয়াকুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুধীর চন্দ্র রায় ও সঞ্চালনকের দায়িত্ব পালন করেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাখাল রায়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর বলেন- ইয়াকুব একজন অত্যন্ত সাহসী ও সংগ্রামী নেতা ছিলেন। ইয়াকুব আমি বন্ধু ছিলাম। কতিপয় অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে ইয়াকুব নিহত হয়। সেময় আমি অনেক মর্মাহত ছিলাম কারণ তখন এই মামলাগুলোর কোনো সরাহা হয়নি। আসামীদের চিহ্নিত করা হয়নি।

কিন্তু আজকে আবার মনে নতুন করে আশার উদয় হচ্ছে। আমার নীলফামারীর রাজনৈতিক ইতিহাসে ইয়াকুবের হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন দেখি নি। আমি ইয়াকুবের ছেলে কামরুল ও নেতৃবৃন্দকে আহবান জানাবো আবার নতুন করে যেনো এই মামলাগুলো খোলা হয় এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।

মানববন্ধনে ইয়াকুর আলীর এক মাত্র পুত্র কামরুল ইসলাম কামরুলের আবেগ ঘন বক্তব্য উপস্থিত সকলকেই আবেগতারিত করে এবং ওই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবী করেন বক্তারা।

এ সময় পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, ঠিকাদার শাহ্ আনোয়ার, জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি দেওয়ান সেলিম আহমেদ, জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি সান্তনা চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ইসরাত জাহান পল¬বী সহ জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।