নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ছুটি ছাড়াই মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ উঠেছে খামার গাড়াগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আরজুমান সুলতানার বিরুদ্ধে। প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ সচেতন মহল ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়- গত মার্চ থেকে আরজুমান সুলতানা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত। এতে এক দিকে বিদ্যালয়টি শিক্ষক সংকটে ভুগছে। অন্যদিকে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। বিদ্যালয়টিতে মোট নয় জন শিক্ষক রয়েছে। সহকারী এক শিক্ষিকা চিকিৎসাজনিত কারণে ছুটিতে আছেন। একজন ছুটি ছাড়াই আছেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ে সাতজন শিক্ষক দ্বারা পাঠদান কর্যক্রম চলছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই শত ৮৭ জন।

স্থানীয়রা জানান- নয়জন শিক্ষকের একজন ছুটিতে। আর একজন ছুটি ছাড়াই দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত। সাতজন শিক্ষক দিয়ে কীভাবে ক্লাস হয়। শিক্ষার্থীরা কীভাবে লেখাপড়া শিখবে এই স্কুল থেকে। এভাবে যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনুপস্থিত থাকেন তাহলে শিশুদের ভবিষ্যৎ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।

এদিকে উক্ত সহকারী শিক্ষিকা আরজুমান সুলতানার শ্বশুড়বাড়ী উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী গ্রামে। তিনি স্বপরিবারে রংপুরে বসবাস করেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক বলেন- গত মার্চ থেকে চিকিৎসার কথা বলে চলে যাওয়ার পর থেকে স্কুলে আর আসেননি। তিনি কোনো ছুটির দরখাস্তও করেননি।

তিনি আরও বলেন- ওই শিক্ষিকার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন না। এ বিষয়ে আমরা শিক্ষা অফিসকে জানিয়েছি।

স্কুলের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোজাফফর হোসেন বলেন- আমি সভাপতি থাকা কালীন বিভিন্ন অজুহাত দিয়ে ছুটি নেয়।এভাবে একটি শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষক সংকটে ভুগছে। বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ও অফিশিয়াল কার্যক্রম আমরা যথাযথভাবে করতে পারছি না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সহকারী শিক্ষিকা আরজুমান সুলতানার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান বলেন- আমি বিদ্যালয়টি বেশ কয়েকবার পরিদর্শন করেছি এবং এখন শোকজ পাঠিয়েছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরিফা বেগম বলৃন- সহকারী শিক্ষিক্ষা আরজুমান সুলতানার অনুপস্থিতির বিষয়টি জানি। আমরা তার বিরুদ্দে প্রয়োজনীয় ব‍্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-আলম সিদ্দিকী বলেন- সহকারী শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।