নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার ১২ই এপ্রিল ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভিজিএফ কার্ডধারীদের মধ্যে ১০ কেজির স্থলে সাত-আট কেজি করে চাল বিতরণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে সুবিধাভোগীরা।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রামনগর ইউনিয়নে ৩ হাজার ৪৬৭ জন ভিজিএফ কার্ডধারীর জন্য ৩৪.৬৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক কার্ডধারীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু কার্ডধারীদের সাত-আট কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে।

ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হকের ছেলে ময়নুল বলেন- পাঁচটা কার্ড একখানে করে চাল দিচ্ছে। আমরা পাঁচ জন ১০ কেজি করে ৫০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও আমরা পেয়েছি ৪৫ কেজি চাল। বাকি ৫ কেজি চাল কোথায় গেলো? ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সুবিধাভোগী লতিফা বেগম ও সুলতান মিয়া জানান- তারা ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও তারা চাল পেয়েছে ৯ কেজি করে।

৪নং ওয়ার্ডের রাজু হোসেন, পারভেজ ইসলাম, হালিম, রশিদুল ও পাদু নামে ভিজিএফ সুবিধাভোগী একত্রে ৫০ কেজি চাল পাওয়ার কথা থাকলেও পায় নি সম্পুর্ন চাল। চাল নিয়ে তাৎক্ষনিক ডিজিটাল পাল্লায় ওজন দিয়ে তারা ৫০ কেজির স্থলে চাল পায় ৩৭ কেজি ৯৫০ গ্রাম। তাৎক্ষনিক সুবিধাভোগীরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যান তাতে কর্নপাত না করে তাদের চলে যেতে বলেন।

ওই ইউনিয়নের ভিজিএফের চাল বিতরণ কার্যক্রম তদারকি কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন- সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক চাল বিতরণ করা হচ্ছে। কোনো অনিয়মের কথা কেউ তাঁকে জানাননি। অভিযোগের বিষয়ে রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ওবায়দুল ইসলাম বলেন- ৫০ কেজি বস্তা প্রতি প্রায় দুই কেজি চাল কম আছে। আমরা যতটুকু চাল পেয়েছি ততটুকু বিতরন করছি। কাজ করছি এখন পরে কথা হবে।

বস্তা প্রতি চাল কম থাকার বিষয়ে সদর উপজেলা খাদ্য গুদামের খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তফিউজ্জামান জুয়েল বলেন- বস্তা প্রতি দুই কেজি চাল কম থাকার কোনো সুযোগ নেই। ডিজিটাল স্কেলে চাল মেপে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। এমনকি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তার বরাদ্দকৃত চাল বুঝে পেয়েছেন মর্মে প্রত্যয়ন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার বলেন- চাল কম দেওয়া সুযোগ নেই। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।