সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৮ অপরাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরে ফুলবাড়ীতে সরকারি প্রণোদনা ও উপজেলা কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে ১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন ১৫০ জন কৃষক। পেঁয়াজ আমাদের দৈনন্দন জীবনে খাবার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান।
আর সেই পেঁয়াজের দাম যদি হয় আকাশ ছোঁয়া সেক্ষেত্রে বিপাকে পড়ে যায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি থাকায় এবছর পেঁয়াজের দাম ছুয়েছে ২‘শত ৫০ থেকে ৩‘শত টাকায়। যা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ছিল। সরকার কৃষি খাতে ব্যাপক গুরুত্ব দিয়েছেন। যাতে করে পেঁয়াজ চাষের উপর ঝুকে পড়ে কৃষকরা।
তারই ধারাবাহিকতায় অত্র উপজেলার পৌরসভার সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ১৫০ জন কৃষক ১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের চাষ শুরু করেছেন। সম্পূর্ণভাবে সরকারি প্রনোদনায় ও কৃষি অফিসের তত্ত্বাবধানে এই পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। পেঁয়াজ চাষের বিষয়ে কথা হয় ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকচকা গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলামের সঙ্গে।
তিনি জানান, কৃষি অফিস থেকে ৩৩ শতক জায়গায় পেঁয়াজ চাষের জন্য বীজ, সার, বালাইনাশক, পলিথিন, নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ২৮০০ টাকা পেয়েছি। কৃষি অফিসের লোকজন সবসময় খোঁজখবর নেন। আশা করি পেঁয়াজ চাষ করে লাভের মুখ দেখবো। একইভাবে দক্ষিণ কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষক আলমগীর হোসেন জানালেন, আমার শুধু জমি সবকিছু কৃষি অফিস থেকে পেয়েছি।
বীজ, সার, বালাইনাশক, পলিথিন, নায়লনের সুতলি এবং চাষাবাদের খরচ বাবদ বিকাশের মাধ্যমে ২৮০০ টাকা আমি সরকারের দেয়া সহযোগিতা পেয়েছি। এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, ফুলবাড়ী উপজেলার ১৫০ জন কৃষককে পেঁয়াজ চাষের জন্য সরকারি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।
১৫০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছে কৃষকরা। বীজ তৈরির কাজ শেষ করে এখন জমিতে পেঁয়াজ রোপন এর কাজ চলছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সবসময় কৃষকদের পাশে রয়েছেন এবং পেঁয়াজ চাষের তদারকি করছেন। জেলা থেকে উদ্বোধন কর্মকর্তারাও স্বশরীরে এসে কৃষকদের জমিতে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আশা করি এবছর ফলন বেশ ভালো হবে।
এবছর ১৫০ বিঘা জমিতে আনুমানিক ৩ শত টন পেঁয়াজ উৎপাদন হবে বলে আশা করছি। তিনি আরো জানান,ফুলবাড়ীর পৌরসভা ও সাতটি ইউনিয়নের প্রকৃত কৃষকদের বাছাই করে পেঁয়াজ চাষের এই প্রনোদনা দেয়া হয়েছে।