রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:০০ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুরে সংবাদ প্রকাশের জেরে দেশসেবা মাল্টিমিডিয়া অনলাইন নিউজ প্রোর্টাল ঢাকা পোস্ট এর সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা হয়রানি মূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানব্বন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
একই সঙ্গে রামচন্দ্রপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে অর্থআত্মসাতের অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে দুদকসহ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১২ই জানুয়ারী ২৩ইং সকাল ১১টার দিকে রংপুর প্রেসক্লাব এর সামনে এ প্রোগ্রামের আয়োজন করে
উক্ত মানব্বন্ধন অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক ফরহাদুজ্জামান ফারুকের সঞ্চালনায় মানববন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, প্রবীণ সাংবাদিক আব্দুস সাহেদ মন্টু, দৈনিক পরিবেশের প্রকাশক ও সম্পাদক একেএম ফজলুল হক, এটিএন বাংলার রংপুর প্রতিনিধি মাহবুবুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক ও দৈনিক সংবাদের রংপুর প্রতিনিধি লিয়াকত আলী বাদল, দৈনিক দাবানলের নির্বাহী সম্পাদক সুশান্ত ভৌমিক, রংপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বাপ্পী, সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর মানিক, মাহিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু নাগ, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুরের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ বায়েজীদ আহমেদ, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম রাজু, সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান, রংপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি রহমত উল্লাহ অপু, সাধারণ সম্পাদক শিমুল ইসলাম, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশেন রংপুরের সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম রিপন, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন-টিসিএ রংপুরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মুকুল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইভান চৌধুরী, ঢাকা পোস্টের লালমনিরহাট প্রতিনিধি নিয়াজ আহমেদ সিপন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম, বেরোবি প্রতিবেদক শিপন তালুকদার প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন- যার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ উঠেছে, সেই ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন মামলা করে প্রমাণ করেছে গণমাধ্যম কর্মীদের স্বাধীনতা আজ বাধার মুখে।
আমরা মনে করেছি অর্থ আত্মসাতের সংবাদের প্রকাশের পর দুদক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসহ প্রশাসন চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে, কিন্তু আজ উল্টো সাংবাদিকের বিরুদ্ধেই মামলা করেছে ওই চেয়ারম্যান। এটা সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার পায়তারা, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন- চেয়ারম্যান মসজিদের অর্থ আত্মসাতও করবে, আবার সাংবাদিকের নামে মামলাও করবে এটা মানা যায় না। ওই চেয়ারম্যানের খুঁটির জোর কোথায় তা বের করতে হবে। সরকারের টিআর, কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করে, আর মোসাব্বিরের মতো দুর্নীতিবাজ জনপ্রতিনিধিরা তা পকেটে ভরে। এধরণের দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ সময় আগামী সাতদিনের মধ্যে হয়রানিমূলক এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় গাইবান্ধা ও রংপুরের সকল সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ঘেরাওয়ের মতো বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন তারা।
এদিকে সরকারি অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ঢাকা পোস্টের সম্পাদক মহিউদ্দিন সরকার ও গাইবান্ধা প্রতিনিধি রিপন আকন্দের নামে হয়রানিমূলক, মিথ্যা মামলা করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোসাব্বির হোসেন।