শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১১ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তি সংগঠন, বিশেষত স্থানীয় সংবাদকর্মীদের তৎপরতায় প্রতিষ্ঠিত হয় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
প্রতিষ্ঠার মাত্র সাড়ে ৩ বছরে ৬০ জহনেরও বেশি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে মহানগরীর ৬টি থানা ও আদালতে। তাদের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই,
চাঁদাবাজী, হত্যাচেষ্টা, দাঙ্গাসহ সামাজিক নানা অপরাধের অভিযোগে মামলা নেয়া হয় কোন রকম তদন্ত ছাড়া।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রথম পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদেন আব্দুল আলিম মাহমুদ। তার যোগদানের পর গত সাড়ে ৩ বছরে রংপুরের সিনিয়র সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা হয়েছে এবং এতে আসামী করা হয়েছে সিনিয়র সাংবাদিক, পত্রিকার সম্পাদক ও টেলিভিশনের সাংবাদিকসহ ৬০ জনকে।
মামলার তথ্য অনুযায়ী, যমুনা টেলিভিশনের রংপুরের সাংবাদিক সরকার মাজহারুল মান্নানের বিরুদ্ধে ৩ বছরে ৪টি মামলা। ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের রংপুর
প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম রাজুর বিরুদ্ধে ৩টি মামলা।
মামলা নং- ২৩/২১, ৮৩/৬৬০, দৈনিক দাবানলের সম্পাদক গোলাম সরওয়ার অনুসহ ওই পত্রিকার ৪ জনের নামে গত বছর মামলা হয়েছে। সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি রংপুরের রতন সরকারের নামে ৩টি মামলা হয়। যার নং ৮২/৬৬০। তার মধ্যে একটি মামলার ফাইনাল হয়েছে বাকি ২টি চলমান।
একাত্তর টেলিভিশনের বিভাগীয় রংপুর প্রতিনিধি শাহ
বায়েজিদ আহম্মেদের নামে ৩টি মামলা। যার মধ্যে ৫৫৫/১৯, ৫৭১/১৯, ৮২/৬৬০।
আজম পারভেজ, গাজী টিভির রংপুর প্রতিনিনি, এশিয়ান টিভির সাংবাদিক বাদশা ওসমানী, ইনকিলাম পত্রিকার হালিম আনছারী, বাংলা টেলিভিশনের আরাফাত হোসেন বাধন, দৈনিক প্রথম খবরের নির্বাহী সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম লাল, দৈনিক দাবানল এর স্টাফ রিপোর্টার রবিন চৌধুরী রাসেল, দৈনিক প্রথম খবর এর স্টাফ রিপোর্টার নারী সাংবাদিক শরিফা বেগম শিউলি প্রমুখ।
এছাড়াও এসএটিভির সাবেক ব্যুরো প্রধান ও বর্তমানে দৈনিক ঢাকা টাইমস্-এর ব্যুরো প্রধান রংপুর প্রেসক্লাববের সদস্য রেজাউল ইসলাম বাবুকে গেল ২২শে জানুয়ারী ২০২২ সন্ত্রাসী কতৃক অপহরনে হুমকিসহ তাকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়।
যার নং- ১৪৯৬/২২-০১-২২।
অপরএকটি জিডি নং ১৬৬৫/২৭-৩-২২। এছাড়াও আরও কয়েকটি জিডি ও মামলার বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেননি তিনি।
সুত্র মতে, মামলাগুলো বাদী, স্বাক্ষী বা আসামীরা কেউই ঘটনাস্থলে উপস্থিত না থাকলেও শুধুমাত্র হয়রানীর উদ্দিশ্যে তাদের নাম ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অনেকেই
এঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামলার পরের দিন স্টাটাস দেন আমিতো এখনও ঢাকায় আমার নাম কিভাবে দেয়া হল।
তদন্ত ছাড়াই এসব মামলা এট্রির ঘটনায় রংপুরের সাংবাাদিক মহল ও সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।