হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ উঠেছে, রংপুর আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরে নিবন্ধনের জন্য দাখিলী হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নামে ভুয়া আবেদনের বিষয়ে, শ্রম সচিব ও মহাপরিচালক শ্রম অধিদপ্তর বরাবর একটি মানসম্মত তদন্ত ও ভুয়া আবেদনটি প্রত্যাখান করার আবেদন করা হয়।

পরবর্তীতে, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক আ: লতিফ সরকার কর্তৃক অভিযোগকারী ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শমসের আলীকে তার অফিসে ডেকে নিয়ে, রংপুর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের নামে তৈরি করা, ভুয়া প্রত্যয়নপত্রে জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ওই সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ এনে শ্রম সচিব ও মহাপরিচালক, শ্রম অধিদপ্তর বরাবর ২৩-০৪-২০২৪ইং পুনরায় অভিযোগকারী ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ শমসের আলী ই-মেইলে অভিযোগ প্রেরণ করেছেন।

সদ্য নিবন্ধনপ্রাপ্ত রংপুর জেলা হোটেল ও রেস্তোরাঁ শ্রমিক ইউনিয়ন, (রেজিঃ নং-রং-৫৮) এর সভাপতি শমসের আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ হাদি স্বাক্ষরিত গত ২০/০৪/২০২৪ তারিখের অভিযোগে বলা হয়-হোটেল শ্রমিক নয়, এমন অন্য পেশার একজনের নেতৃত্বে অসৎ উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নের লক্ষে ভুয়া হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন পত্রের সাথে দেয়া, ট্রেড ইউনিয়ন গঠন সংক্রান্ত কাল্পনিক সভা, চাঁদা দানকারী সদস্যদের বিবরণসহ প্রয়োজনীয় সকল কাগজাদি আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের কারও সহযোগিতায় ভুয়াভাবে সৃজন ও বানোয়াট কাগজপত্রে রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতঃ অন্যায়ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালিয়ে ভুয়া কাগজপত্রে জালিয়াতি ও তথ্যের মিথ্যা বর্ণনার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন হাসিল করার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছেন। অভিযোগে দাখিলী ভুয়া ট্রেড ইউনিয়নটির বিরুদ্ধে একটি মানসম্মত তদন্ত অনুষ্ঠান, ভুয়া ট্রেড ইউনিয়নটির আবেদন প্রত্যাখান ও ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের নামে জালিয়াতির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার আবেদন জানানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী রংপুর জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শমসের আলী একাত্তর সংবাদকে বলেন, আমার দায়েরকৃত প্রথম অভিযোগ পাওয়ার পর, আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, রংপুর কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক আঃ লতিফ সরকার ২২/০৪/২০২৪ তারিখ, আনুমানিক ১২টার দিকে আমাকে ফোন দিয়ে তার অফিস কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। আমি বাইরে থাকার দরুণ আসতে না পারায়, পরের দিন ২৩/০৪/২০২৪ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০ঃ৩০ মিঃ শ্রম দপ্তরে তাহার অফিস কক্ষে যাই।

এ সময় তিনি আমাকে হুমকি দিয়া বলেন, এক জায়গায় ৩টা ট্রেড ইউনিয়ন দেওয়া যায়। তোমার সমস্যা কি? এই কাগজটাতে স্বাক্ষর করে নিচে ১৬/০৪/২০২৪ তারিখ দেও। না হলে, আমরা তোমার ট্রেড ইউনিয়ন বাতিল করে দিব। আমি ভয়ে তাহার কথামত তাদের তৈরি করা একটি ভূয়া প্রত্যয়নপত্রে স্বাক্ষর ও পূর্বের তারিখ দিতে বাধ্য হই। নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারী ট্রেড ইউনিয়নটির সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী তালুকদারের বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায়, বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের সহকারী পরিচালক আঃ লতিফ সরকারের বক্তব্য জানতে তার ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেননি। আঞ্চলিক শ্রম দপ্তর, রংপুরের উপপরিচালক মোহাম্মদ সাদেকুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে আমি ঊর্ধ্বতনের অনুমতি ছাড়া কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।