নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
‘নিজের একনা জমি, থাকিবার পাকা ঘর ইইবে; মুই কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবো নাই। শেখের বেটি আইজ মোক জমি-বাড়ী দিছে। শেখ সাহেবের বেটিক বাঁচিয়া না থাকিলে সারা জীবন বৌ-ছাওয়াক নিয়া মোক রাস্তাত পরি থাকির লাগিল হয়। আইজ মুই জমি-বাড়ীর মালিক’।

ঈদের আগেই প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমি আর নতুন বাড়িসহ স্থায়ী ঠিকানা অনুভূতি প্রকাশ করেন নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ভূমিহীন কায়েকী শ্রমিক অফিজ উদ্দিন(৫০)।

শুধু তিনিই নন, তার মতো নীলফামারী জেলায় এক হাজার ২০৫টি ভূমি ও গৃহহীন এবং ছিন্নমূল পরিবার ঈদে পেয়েছেন স্থায়ী ঠিকানা।

মঙ্গলবার ২৬শে এপ্রিল সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব পরিবারের হাতে ঘরের মালিকানাসহ দলিল তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছাও বিনিময় করেন তিনি।

এদিকে সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই নীলফামারী জেলার ছয় উপজেলায় এক হাজার ২০৫টি পরিবারের মধ্যে আশ্রয়ণ প্রকল্পে তৃতীয় পর্যায়ে জমিসহ বাড়ির দলিল হস্তান্তর করে জেলা প্রশাসন। এর মধ্যে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ৩২৩টি, জলঢাকা উপজেলায় ২৮০টি, সদর উপজেলায় ২৬০টি, কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ১৭৭টি, সৈয়দপুর উপজেলায় ৮৫টি এবং ডোমার উপজেলায় ৮০টি পরিবার রয়েছেন।

এসময় নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, নীলফমারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. ইব্রাহিম খান, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা তবিবুর রহমান, জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বারী পাইলট, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন সহ ছয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।