রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৫ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গৃহবধূকে হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আরেকজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
আজ বুধবার ১১ই মে ২০২২ইং দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক এস এম রেজাউল বারী এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিরা হলেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দক্ষিণ সুজাপুর গ্রামের মৃত বিবেকানন্দ চৌধুরীর ছেলে সাধনা নন্দ চৌধুরী(৬৩), আকাশ চৌধুরী(২৭), সাধনা নন্দ চৌধুরীর স্ত্রী প্রতিমা রানী চৌধুরী(৪৫), চকচকা গ্রামের রবীন্দ্রনাথ দাশের ছেলে জীবন চন্দ্র দাস(৩০) ও কাটাবাড়ী গ্রামের কার্তিক চন্দ্র মহন্তের ছেলে কাজল মহন্ত(৩১)।
এদের মধ্যে প্রতিমা রানী চৌধুরী, আকাশ চৌধুরী ও কাজল মহন্তকে মৃত্যুদণ্ড, নিহত নারীর স্বামী সাধনা নন্দ চৌধুরীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং জীবন চন্দ্র দাসকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জীবন চন্দ্র দাসকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয়মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রবিউল ইসলাম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের এমন রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়- সাধনানন্দ চৌধুরী তার প্রথম স্ত্রী তপতী রানী চৌধুরীর সঙ্গে সংসার চলাকালীন ২০১৪ সালে প্রতিমা রানী চৌধুরীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকেই তপতী রানী চৌধুরীকে আলাদা করে রাখতেন এবং ভরণপোষণ দিতেন না স্বামী সাধনানন্দ। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের কলহ হতো।
২০১৭ইং সালের ৬ই এপ্রিল রাত ৯টার পর থেকে স্বামী, সতিন ও সতিনের ছেলেসহ পাঁচজন মিলে তপতী রানীর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। এক পর্যায়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ উত্তর কৃষ্ণপুর গ্রামের একটি বাঁশবাগানে নিয়ে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
এ ঘটনায় নিহত নারীর ছেলে শুভ নন্দ চৌধুরী বাদী হয়ে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়। মামলার চার আসামি ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে ২২ জনের সাক্ষ্য নেন, সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ এ রায়টি ঘোষণা করেন আদালত।