বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন
রবিন চৌধুরী রাসেল- রংপুর জেলা প্রতিনিধি.
উগ্র সন্ত্রাসী, জঙ্গী সংগঠন ইসকন কর্তৃক মসজিদ ও আদালতের স্থাপনা ভাঙচুর, ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং আদালতপ্রাঙ্গণে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যার বিচার ও দেশবিরোধী উগ্র সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রংপুর জেলা শাখা।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ থেকে শুরু হয়ে পায়রাচত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড় ও প্রেসক্লাব ঘুরে কাচারি বাজারস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত মিছিল করে সংগঠনটি। সেখানে উগ্রবাদী জঙ্গী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে আবার একই জায়গায় এসে মিছিলটি শেষ হয়।
এ সময় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুছ ও রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ ইদ্রীস আলীসহ জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের পরাজিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ভারতের মাধ্যমে হিন্দুদের একটি অংশকে ব্যবহার করে। এদেশে শান্তি বিনষ্টের ঘৃণ্য অপচেষ্টা করছে। ভারতের প্রত্যক্ষ মদদেই ইসকন বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে ইসকনের ইতিহাসের পুরোটাই মারামারি, হানাহানি এবং উগ্রতায় ভরপুর। বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ভূমি দখল, মন্দির দখল ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের ঘটনা অহরহই ঘটিয়ে চলেছে তারা।
সমাবেশে বলা হয়, দেশের সকল শ্রেণীর মানুষের পাশাপাশি সরকার ও বিভিন্ন সংস্থাগুলো যখন জানাচ্ছে যে, বর্তমানে হিন্দুরা পূর্বের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি নিরাপত্তায় রয়েছে, তখন ভারতের ইশারায় ইসকন মিথ্যা তথ্য ও গুজব রটিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর ষড়যন্ত্র করছে।
বক্তারা বলেন, আমরা মনে করি, ভারতীয় প্রেসক্রিপশনে ইসকনের মাধ্যমে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় মুসলমানদের পবিত্রতম স্থান মসজিদ ভাঙচুর করে সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিকদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে। পূর্বপরিকল্পিত ছক অনুযায়ীই আদালতপ্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে কুপিয়ে ও জবাই করে শহীদ করেছে ইসকন সদস্যরা।
দাবি জানিয়ে তারা বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের জোরালো দাবি, এমন ভয়াবহ অবস্থায় অনতিবিলম্বে ইসকনের সকল কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করতে হবে, চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
সমাবেশে হেফাজত নেতারা বলেন, বাংলাদেশে ভারতীয় আগ্রাসনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। সরকার যদি ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে গরিমসি করে এবং ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে আগামীতে ধারাবাহিক আন্দোলনেরও হুঁশিয়ারি দেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ।