শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
রবিন চৌধুরী- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর মেট্রো হাজীরহাট থানায় ধর্ষণ মামলায় ভুক্তভোগী জেলেখা বেগম(৫৭) অভিযোগ করার ২ ঘন্টার মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান(৭২) কে গ্রেফতার করেন পুলিশ।অভিযোগ করার ২ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করায় সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছেন মেট্রো হাজীরহাট থানা পুলিশ।।
মুঠোফোন সূত্রে সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, রংপুর মহানগর হাজিরহাট থানাধীন মন্থনা এলাকায় জেলেখা বেগম(৫৭) নামে এক বিধবা মহিলাকে একই এলাকার প্রভাবশালী আব্দুল মান্নানের(৭২) বিরুদ্ধে ৮ বছর ধরে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকাল ৩ ঘটিকায় ভুক্তভোগীকে সাথে নিয়ে থানায় গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি পুরোপুরি অবহিত হয়ে সাথে সাথে ভুক্তভোগী জেলেখা বেগমকে বাদী করে এজাহার দায়ের করেন।এজাহার সূত্র ধরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ইনচার্জ) সঙ্গীয় ফোর্স সহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২ ঘন্টা অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত আসামী আব্দুল মান্নান কে গ্রেফতার করেন।
এসময় ভুক্তভোগী জেলেখা বেগম বলেন, আমি হতদরিদ্র বিধবা হওয়ায় আমার স্বামীর অবর্তমানে বিয়ের প্রলোভনে ভিটাবাড়ি উচ্ছেদ করার ভয়ভীতি দেখিয়ে আব্দুল মান্নান(চৌকিদার) ৮ বছর ধরে নিয়মিত আমার সাথে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হন।গত ৩১ তারিখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আবারও আমাকে ধর্ষণ করেন। আমি আত্মসম্মান বাঁচাতে বিয়ের কথা বললে আব্দুল মান্নান আমাকে ধর্ষণ করেন এবং বেধড়ক মারপিট করে বসতভিটা উচ্ছেদ করার হুমকি প্রদান করেন।আমি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার দিয়েও মিলেনি কোন বিচার বরং উল্টো নিজের সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। প্রতিনিয়ত হুমকি প্রদান করিলে আমি ন্যায় বিচারের জন্য থানায় আসলে ওসি রাজিবুল স্যার সব ঘটনা শুনে ধর্ষক আব্দুল মান্নানকে গ্রেফতার করেন।আমার আদালতের কাছে প্রার্থনা, এই ধর্ষণকারী আব্দুল মান্নানের যেন দেশের আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেন।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা মুকুল ও রাজু মিয়া বলেন, আব্দুল মান্নান স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ার বিয়ের প্রলোভনে ভুক্তভোগী জুলেখা বেগম কে প্রায়ই ধর্ষণ করেন।স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পান না। দৈনিক দাবানল প্রতিবেদকের প্রশ্নের জবাবে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নান ধর্ষণের ঘটনাটি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন আপনারা সাংবাদিক মানুষ সম্মানের সাথে চলে যান বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং মারমুখী হয়ে উঠেন।
অভিযোগ আমলে নিয়ে রংপুর মেট্রো হাজীরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমি স্থানীয় সাংবাদিক ও ভুক্তভোগী জুলেখা বেগমের অভিযোগটি আমলে নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্ত আসামী আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার করি। মামলার সকল কার্যক্রম শেষে অভিযুক্ত আসামীকে আদালতে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।