মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ঠিকাদার নির্মানের কাজ করায় নিমার্ণের ১৩ বছরে জরাজীর্ণ। দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসটি ছিল ২ শত বছরের পুরাতন ভবন। সেই ভবনটিতে স্বাধীনতার পর থেকে সহকারী কমিশনার ভূমি হিসেবে অফিস চলছিল।
কিন্তু অফিস ভবনের ছাদ দিয়ে অনাবরত পানি পড়ায় সেখানে অফিস করা সম্ভব ছিলনা। অফিসে রক্ষিত রেকর্ড রুমেও পানি পড়ত। সহকারী
কমিশনার ভূমি অফিসটির বেহাল অবস্থ দেখে দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের নিজেস্ব রাজস্ব ফান্ড থেকে প্রায় ২২ লক্ষ টাকা দিয়ে টেন্ডার করলে ঠিকাদারের মাধ্যমে ২০০৯ ইং সালে কাজটি শুরু করেন। কাজটির শুরু থেকে ভবন নির্মাণে অনিয়ম দূনীতি হয়েছে। সিডিউল মোতাবেক কাজটির ঠিকাদার ভবনটির কাজ ঠিকমত না করায় বর্তমান ভবনটির ছাদ খুলে পড়ছে, ওয়ালের প্লাস্টার খুলে পড়ছে। জানালা দরজা নষ্ট হয়ে গেছে।
কর্মকর্তা কর্মচারীরা জরাজীর্ণ ভবনে বসে অফিস করছে। সেখানে ভূমি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইলপত্র রাখা সম্ভাব হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সরকারি টাকা পেলে ভবনটি সংস্কার করছেন তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না। এদিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা
তহশিল অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখার রেকর্ডরুমটিও শ্যাতশ্যাতে অবস্থায় রয়েছে। এখানে নতুন কোন ভবন নির্মাণ করে সেখানে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র রাখা না হলে ভবিষতে রেকর্ড রুমে রক্ষিত কাগজগুলি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ বছরের নির্মাণকৃত একটি রুমে সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসার বসে তার অফিসিয়াল কাজকর্ম করছেন। সেই ঘরে ৫ জন লোক ঢুকে কাজ কর্ম করতে পারেনা। ৪টি রুমের অবস্থা অত্যান্ত করুন।
অফিস করার মত ঘর নয়। এই ভবনটি ১০ জুলাই ২০১০ ইং সালে তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি উদ্বোধন করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সহকারী কমিশনার ভূমি অফিসের বেহাল অবস্থা। সেখানে গাদাগাদি করে অফিস করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
এদিকে জরাজির্ন ভবনের উপরে সহকারী কমিশনার ভূমির দায়িত্বে থাকা তৎকালীন শামীমা আক্তার জাহান প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা ব্যায়ে
রেকড রুম নির্মাণ শুরু হলেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ করতে পারে নি। এই জরাজির্ন ভবনে ব্যয় করা সরকারের অপচয়। সহকারী কমিশনার ভূমি, কর্মকর্তা কর্মচারীরা ভাঙ্গা ঘরে অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা মুহাম্মদ জাফর আরিফ এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এখানে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্বের দায়িত্বরত কর্মকর্তা তা বলতে পারবেন।