শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ফুলবাড়ীর কাজিহাল ইউনিয়ন পরিষদের বেহাল অবস্থা ফুলবাড়ীতে প্রান্তিক নারীদের কর্মমূখী দর্জি প্রশিক্ষণ ধুনটে গোপালনগর ইউনিয়নে ওয়ার্ড কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন নীলফামারীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন ফুলবাড়ীতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ ফুলবাড়ীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে নষ্ট করলো জমির ধান ধুনটে গোপালনগর ইউনিয়নে কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ যুবতী গ্রেফতার মনোনয়ন পেয়ে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে সাইফুল ইসলাম ফুলবাড়ীতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন ফুলবাড়ীর বড়গ্রাম সীমান্ত এলাকায় থেকে বিপুল পরিমান মাদক আটক অসময়ে বৃষ্টির ফলে অসংখ্য কৃষকের ধান ক্ষতিগ্রস্ত ধুনটে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন রংপুরে জাতীয় সমবায় দিবস উদ্‌যাপিত নীলফামারীতে উদ্বোধন হলো জৈব সার কারখানা পাথর খনি শ্রমিকদের সন্তানদের জিটিসি কর্তৃক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান ধুনটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হালিম হত্যার আসামিরা পলাতক, ধামাচাপা দিচ্ছে প্রশাসন নীলফামারীতে তারেক রহমানের ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ধুনটে শহীদ জিয়া স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা

রাণীশংকৈলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি

শামীনুর রহমান- রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি.
দিগন্ত জোড়া মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ। মাঠের পর মাঠ শুধু হলুদের বিশাল গালিচা, যতো দূরে চোখ পড়ে শুধু হলুদ আর হলুদ। চির সবুজের বুকে যেন কাঁচা হলুদের আলপনা। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে এখন মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত। ফুলে ফুলে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত। প্রকৃতিতে হলুদ বর্ণে শোভা পাচ্ছে বিস্তীর্ণ সরিষার মাঠ। চারদিক ছড়িয়ে পড়ছে ফুলের গন্ধের সুবাস। পরিবেশকে করে তুলেছে মোহনীয়। সেই মোহনীয় পরিবেশ ও হলদে আভার পরশ নিতে ক্ষেতে ছুটছেন প্রকৃতিপ্রেমী উৎসুক অনেকেই। সেই সাথে সরিষা ফুলের ছবি তুলতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন দৃশ্য।

সরিষা চাষে দ্বিগুণ লাভের আশায় বুক বাঁধছেন উপজেলার কৃষকরা। কৃষকের মুখে সরিষার বাম্পার ফলনের আশায় হাসির ঝিলিক। শীতের শিশির ভেজা সকালে কুয়াশার চাদরে ঘেরা বিস্তীর্ন প্রতিটি মাঠ যেন হলুদ বর্ণে ঘেরা এক স্বপ্নীল পৃথিবী। যেদিকে তাকাই শুধু সরিষা ফুলের হলুদ রঙের চোখ ধাঁধাঁলো বর্ণীল সমারোহ।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন কৃষকেরা। তাই তো ভালো ফলনের আশায় উপজেলার কৃষকেরা রাতদিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। কৃষকের পাশাপাশি বসে নেই কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রাণীশংকৈল উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকেরা তাদের জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৭, বারি-১৮ ও বিনা সরিষা-৯ আবাদ করেছেন।সরিষা একটি লাভজনক ঝুঁকিমুক্ত ফসল। সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে সরকার কৃষকদের বীজ, সার ও পরামর্শ দিয়ে উদ্বুদ্ধ করছে। সরিষা চাষ সম্প্রসারণের জন্য কৃষি বিভাগ অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে প্রতিনিয়ত দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এবং আমিসহ প্রতিটি উপ-সহকারী কৃষি অফিসার প্রতিদিন বিভিন্ন সরিষা ক্ষেতের মাঠ পরিদর্শনে যাচ্ছি। এতে করে কৃষকরা সঠিক পরামর্শ পাচ্ছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ মৌসুমে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত মৌসুমে সরিষার অর্জিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ হাজার ৯’শত ৫০ হেক্টর। গত বছরের তুলনায় এবার কিছুটা কম। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আশা করছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে উপজেলায় এ মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ১০৪ মেট্রিক টন সরিষা কৃষক ঘরে তুলতে পারবে।

উপজেলার নন্দুয়ার ইউনিয়নের, মনিরুল ইসলাম বাচোর ইউনিয়নের, আবেদ আলী, লেহেম্বা ইউনিয়ের রওশন আলী, হোসেনগাঁও ইউনিয়নের আব্দুল খালেক এবং ধর্মগড় ইউনিয়নের খলিলুর রহমান বলেন, আমরা সরিষা চাষ কেরেছি, খরচ তেমন নেই। শুধু গোবর সার দিয়ে জমি চাষের পর বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। তারপর গাছ বড় হলে দিতে হয় সেচ। সার বা কীটনাশক তেমন একটা দিতে হয় না।

এ কারণে সরিষা চাষে কম খরচে বেশি লাভ। তাছাড়া এলাকার অনেক চাষি উচ্চ ফলনশীল জাতের সরিষা বীজ বিনামূল্যে পেয়ে বেশি আবাদে ঝুঁকেছেন। বিঘা প্রতি ৭ থেকে ৯ মন তো হবে বলে আশাবাদী কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহীদুল ইসলাম জানান, সরকার দেশে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষা ও তেলজাতীয় ফসল আবাদের উপর জোর দিয়েছে। রাণীশংকৈল উপজেলায় একটি তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের কার্যক্রমের কারণে উপজেলায় সরিষার আবাদ ও ফলন প্রতিবছর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে উপজেলার প্রায় ৫.৬০ হেক্টর ৪ হাজার ২ শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত এক বছরেই দেড়গুণ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনসংখ্যা অনুপাত হিসেবে ৪০-৫০ ভাগ সরিষার চাহিদা পূরণ হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com