শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী ৩ ও ৪ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বরাবর লিখিত এ অভিযোগ দেয় ওই দুই আসনের ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী।
অভিযুক্তরা হলেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনের সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল ও নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ আহসান আদেলুর রহমান আদেল।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নীলফামারী ৩ ও ৪ আসনের ওই দুই প্রার্থী প্রকাশ্যে ও বিভিন্ন মাধ্যমে ভোট গ্রহনের পূর্বেই নিজেদের আগাম সংসদ সদস্য হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করছেন। যা নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত ও নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে। যার ফলে আমরা প্রার্থী ও সাধারণ ভোটাররা বিভ্রান্ত হচ্ছেন। এতে করে সাধারণ ভোটাররা ভোট প্রদানে উৎসাহ হারিয়ে ফেলছেন। এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযোগে অনুরোধ জানানো হয়।
অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেন, নীলফামারী-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা (ঈগল), সাদ্দাম হোসেন পাভেল (কাচি), হুকুম আলী খান (ট্রাক), কাজী ফারুক কাদের (কেটলী), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী বাদশা আলমগীর (হাতঘড়ি) ও গণতন্ত্রী পার্টির মোজাম্মেল হক (কবুতর) এবং নীলফামারী-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক) ও জাসদ প্রার্থী আজিজুল হক (মশাল)।
অভিযোগকারী প্রার্থীরা জানান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী রানা মোহম্মদ সোহেল ও আহসান আদেলুর রহমান আদেল প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন তারা একটি ভোট পেলেও এমপি নির্বাচিত হবেন। এটা সম্পূর্ণ আচরণ বিধি লঙ্ঘন। এতে ভোটার ও সমর্থকদের মধ্যে ভোট প্রদানের আগ্রহ হারাচ্ছে। বিষয়টি আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘এ কথা আমি কখনো বলি নাই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। আমি যদি এমন কথা বলে থাকি তাহলে এর ভিডিও বা কোন প্রমাণ দেখাতে পারলে আমি এর দায়ভার মাথা পেতে নেব।’
সংসদ সদস্য আদেলুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, অভিযোগ পত্রটি আমার কার্যালয়ে জমা দেয়ার কথা। আমি সেটি দেখে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।