শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১০ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার-ি বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশ ও জাতির কল্যানার্থে বিরতিহীন অভিযানের মাধ্যমে মাদক, সন্ত্রাস, অস্ত্র ও জঙ্গিবাদ নির্মূল’সহ দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের মলক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। এই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে সারা দেশব্যাপী পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট কতৃক যথারীতি অভিযান চলমান রয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় বগুড়ার কাহালুতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিপুল পরিমাণ যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার ১৬ই এপ্রিল ২০২২ইং দুপুর ১২টায় নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্যটি জানান পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী। গ্রেফতাকৃত আসামীরা হলো- কলমাশিবা গ্রামের মৃত দেবেন্দ্রনাথ প্রামানিকের ছেলে নিলু চন্দ্র প্রামানিক(৪৫) ও নিলুর ছেলে সঞ্জিত চন্দ্র প্রামানিক(২২)।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন- গত ১৪ই এপ্রিল মধ্যরাতে কলমাশিবা গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে একরাম হোসেন সরদার ওরফে বগা (৩২) নামে এক যুবকের দুই পায়ে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনা তদন্তকালে সন্দেহভাজন হিসেবে নিলু ও তার ছেলে সঞ্জিতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যে নিলুর বাড়ি থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় বিপুল পরিমাণ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির যন্ত্রাংশ জব্দ করা হয়।
তিনি আরও বলেন- জব্দকৃত যন্ত্রাংশের মধ্যে একনলা বন্দুক তৈরির পাঁচটি ব্যারেল, লোহার তৈরি তিনটি রিকয়েলিং স্প্রিং, ছয়টি ফায়ারিং পিন, স্টিলের ছয়টি বন্দুকের ট্রিগার, একনলা বন্দুক তৈরির স্টিলের খাপ পাঁচটি, বন্দুক তৈরির কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সাইজের ১৯-টি লোহার পাত, লোহার তৈরি জং ধরা একটি ব্যারেলের শেষ অংশ, তিনটি লোহার রড, ড্রিল মেশিনের মাথায় ব্যবহৃত চারটি লোহার খণ্ড, লোহার তৈরি হ্যামার ছয়টি এবং চারটি স্টিলের পাত উল্লেখযোগ্য।
পুলিশ সুপার আরও বলেন- দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জব্দের ঘটনায় কাহালু থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। অধিকতর তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীদের রিমান্ডে নিতে আদালতে আবেদন জানানো হবে। এছাড়াও একরামের দুই পায়ে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় কলমাশিবা এলাকার আকরাম হোসেনের ছেলে শামিম হোসেন(৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বগুড়ার কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমবার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন- এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জের ধরে একরাম হোসেন বগার দুই পায়ে গুলি করে শামিম। এলাকায় তাদের পৃথক পৃথক গ্রুপ রয়েছে। এ মামলা তদন্ত করতে গিয়ে অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। অস্ত্র তৈরির সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হবে।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com