বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
উজানের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বাড়ছে-কমছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে তিস্তা পারের মানুষ। শুক্রবার ২রা সেপ্টেম্বর সকাল ৯টায় তা কমে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ১লা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি ওঠানামার বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম বলেন- গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার পর থেকে পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর সন্ধ্যা ৬টায় তা বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ওইসব পয়েন্টে বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।’
এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, পশ্চিম ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এতে তিস্তা তীরবর্তী এলাকার কৃষকদের আমন ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন বলেন- তিস্তার পানি বাড়া-কমায় ইউনিয়নের পূর্বছাতনাই ও ঝাড়সিংহেরশ্বর গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। ইতোমধ্যে ওই দুই গ্রামের প্রায় ৫৫০টি পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক বাড়িতে প্রায় হাঁটুপানি। এই পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আমন ক্ষেতসহ পুকুরের মাছ ভেসে যাবে।’
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক বলেন- বন্যার পানি ওঠানামা করেছে। এতে ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়েছে। অনেকে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগি নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন। এতে আতঙ্কে রয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষ’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আসফাউদদৌলা বলেন- ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর ভাটি অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।