শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২১ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে ।র্যাব- প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অপরাধ দমনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করে জনসাধারণের পাশে থেকে বিভিন্ন সেবামূলক কাজের মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের মনের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ।
দেশের যেকোন দূর্যোগ মুহূর্তে র্যাব-সবসময় বন্ধু হয়ে জনসাধারণের পাশে দাড়িয়েছে। করোনা (কোভিড -১৯) মহামারির কারণে অসহায় ও দুস্থ মানুষের খাবার ব্যবস্থা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ায় র্যাব- সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
চলমান করোনা মহামারীতে র্যাব বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত দুগ্ধ ও পোল্ট্রি খামারীদের পাশে দাড়িয়েছে। দুস্থ ও নিপীড়িত মানুষের পাশে এবং দেশের যেকোন আপদকালীন মুহূর্তে র্যাব- ফোর্সেস সর্বদা মানুষের পাশে থেকে সব ধরণের সহায়তা প্রদান আসিতেছে।
এর’ই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে রাজশাহীতে টাকার অভাবে মেডিকেলে চান্স পেয়েও ভর্তি হতে না পারা হত-দরিদ্র পিতৃহারা সেই ছাত্র অন্তরার পাশে এসে সাহায্যেে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন র্যাব-৫। এ বিষয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সিপিএসসি, র্যাব-৫, রাজশাহী কতৃক আজ রবিবার ১০ই এপ্রিল ২০২২ইং তারিখ বিকেল ৪টা ৫০ ঘটিকায় ই-মেইল যোগে এই গণমাধ্যম কর্মীকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিে জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি নিম্নে হুবহু তুলে ধরা হলোঃ
১। র্যাব ফোর্সেস আমাদের প্রিয় মাতৃভুমির অপ্রতিরোধ্য উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করতে এবং সম্মানিত নাগরিকদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনের আলোকে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে অসহায় ও দুস্থদের পাশে থেকে আর্থিক ও বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে জনসেবা মূলক কার্যক্রমেও বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে এই এলিট বাহিনী।
২। রাজশাহী জেলার বাঘা থানার চন্ডীপুর গ্রামের হত-দরিদ্র পরিবারের মেয়ে মোছাঃ অন্তরা খাতুন(২০)। তার বাবা সুদীর্ঘ ১৮(আঠারো) বছর পূর্বে দূরারোগ্য ব্যাধিতে মারা যায়। পরবর্তীতে তার মা অন্যের বাড়ীতে কাজ করে ও ভাই দিনমজুরী করে সংসার চালানোর পাশাপাশি তার লেখপড়ার খরচ যোগান দেয়। ২০২১-২০২২ইং শিক্ষাবর্ষে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও আর্থিক অনটনের কারণে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি অধিনায়ক, র্যাব-৫ এর দৃষ্টি গোচর হয়। এরই প্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখ র্যাব-৫ এর অধিনায়কের পক্ষ হতে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মারুফ হোসেন খান চন্ডীপুর গ্রামে অন্তরার বাড়িতে হাজির হয়ে তার হাতে ভর্তির যাবতীয় খরচ প্রদান করেন।
৩। মেডিকেলে চান্স পাওয়া অন্তরা বলেন- আর্থিক অনটনের মধ্যেও নিজের ইচ্ছাশক্তি আর সবার দোয়ায় এ পর্যায়ে পেঁাছাতে পেরেছি। কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে মেডিকেলে ভর্তির টাকা জোগাড় করা কষ্টকর হচ্ছিল। বিষয়টি জানার পর র্যাব-৫, রাজশাহী আমাকে ভর্তির টাকা দিয়ে সহযোগিতা করায় আমি অত্যন্ত খুশি এবং কৃতজ্ঞ। সুত্রে, র্যাব-৫।