সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শাহরিয়ার কবির আকন্দ- গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
প্রধান শিক্ষক যদি আন্তরিক হন তবে বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করা সম্ভব। সেটি করে দেখিয়েছেন কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিথুন।
কথায় আছে,” আগে দর্শনধারী পরে গুনবিচারি”। অর্থাৎ কাউকে প্রথম দেখাতে যদি ভালো লেগে যায় তবে তার প্রতি আকর্ষণ বোধটা ধীরে ধীরে চলে আসে।
সুন্দরের প্রতি আকর্ষণবোধ মানুষের চিরন্তন।একটি মানুষের সুন্দর বেশভূষা,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা স্বাভাবিকভাবে অন্যকে আকর্ষণ করে।
তেমনি একটি সুসজ্জিত আকর্ষণীয় বিদ্যালয় যেমন অভিভাবকদের নজর কারে তেমনি কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের ঐ বিদ্যালয়ের প্রতি আরো বেশি আকৃষ্ট করে। সুন্দর ছিমছাম বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ও পড়াশোনার তারা আগ্রহী হয়ে ওঠে।
প্রধান শিক্ষক যদি সৎ, ন্যায়নিষ্ঠাবান ও আন্তরিক হন এবং বিদ্যালয়টি যদি তিনি নিজের সন্তানের মত মনে করেন তাহলে বিদ্যালয়কে দৃষ্টিনন্দন করা সম্ভব।
তেমনি একটি বিদ্যালয় গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মিথুন পিইডিপি-৪ এর আওতায় বিভিন্ন মেরামতের টাকা দিয়ে রুম সজ্জিতকরণ, সুন্দর পরিপাটি শ্রেণি কক্ষ তৈরী করণ, বাচ্চাদের সুন্দর ওয়াশরুম, সঠিকভাবে শিক্ষকদের পাঠদান, নিয়মিত মা সমাবেশ ও অভিভাবকদেরসহ এস,এম সি কমিটির সভার আয়োজন করে থাকেন। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আর একারণে স্কুলটিতে বহু ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করছে।
যেখানে গোটা উপজেলা জুড়ে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় ধস নেমেছে। সেখানে পুরাতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এখনো শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে উপচে উঠছে।
একেকটি বিদ্যালয়ে গিয়ে মনটা ভরে যায়। এসব স্কুলের শিক্ষার পরিবেশ দেখলে যে কেউ মুগ্ধ হয়ে যাবে । তাদের লেখাপড়ার মান এতটাই ভালো যা বলে বা লিখে প্রকাশ করা যাবে না।
যেমন কাশিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পলাশবাড়ী পৌরসভার ভিতর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ড্রীম ল্যান্ডের পার্শ্বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বরিশাল ইউনিয়নের জুনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুইগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু পুরাতন বিদ্যালয়।
কাশিয়াবাড়ী স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মিথুন জানান- বিদ্যালয়ের যথেষ্ট পরিমান জায়গা রয়েছে। শ্রেণি সংকটের কারণে রুমে পর্দা দিয়ে ক্লাশ করানো হচ্ছে। স্কুল ভবনের খুবই প্রয়োজন। স্বল্প পরিসরে সাজানো হয়েছে বিদ্যালয়। বারান্দার গ্রিলে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের টব।
এছাড়াও সততা ষ্টোর, ক্লাশ লাইব্রেরী,বঙ্গবন্ধু কর্নার,শিশু শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন শিক্ষামূলক উপকরণ,শিক্ষামূলক নানা তথ্য সম্বলিত প্যানা বোর্ডসহ আরও অনেক কিছু। পরিশেষে প্রধান শিক্ষক আবারও একটি বহুতল স্কুল ভবনের জোর দাবী জানান।