বুধবার, ০৪ Jun ২০২৫, ০৯:০১ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
যতই ঘনিয়ে আসছে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা(কোরবানির ঈদ), ততই জমজমাট হয়ে উঠছে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী “তারাগঞ্জ হাট”। জেলার অন্যতম হাটগুলোর মধ্যে “তারাগঞ্জ হাট” এর ঐতিহ্য রয়েছে দেশব্যাপী। কোরবানির পশু ও নানাবিধ পণ্যের কেনাবেচায় “তারাগঞ্জ হাট” এবার আসন্ন ঈদ উপলক্ষে এ হাট আরো ব্যাপক সরগরম। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আশপাশের এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা এসেছেন এই হাটে। পরম যতে লালনপালন করা গরু, ছাগলসহ অন্যান্য কোরবানির পশুতে ভরে উঠেছে তারাগঞ্জ হাট প্রাঙ্গণ। ভিড় জমেছে ক্রেতা/বিক্রেতা ছাড়াও দর্শনার্থীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সরকার নির্ধারিত টোল হার অনুসারে গরু প্রতি ৬০০ টাকা, ছাগল ২২০ টাকা, হাঁস-মুরগি ১৫ টাকা এবং পেঁয়াজ-আদা-রসুন মনপ্রতি ২০ টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। পুরো হাটজুড়ে টোল আদায়ে ক্রেতা সাধারণকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। নির্ধারিত মূল্য ব্যতীত অতিরিক্ত টাকা না দিতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্ক করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও করা হয়েছে জোরদার। পশুর স্বাস্থ্যগত পরীক্ষায় ভেটেরিনারি সেবা সহ জাল টাকা শনাক্তে স্থাপন করা হয়েছে বুথ ও মেশিন এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষণে করছেন সেনা বাহিনীর টহল টীম, আইনশৃঙখলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।
উপজেলার কাঁচনা এলাকা থেকে হাটে আসা ক্রেতা জাবেদ আলী বলেন, গতবারের তুলনায় এবার কম দামে গরু কিনলাম। চায়নি বাড়তি কোন চাঁদা। রহিমাপুর পাঠানপাড়ার বিক্রেতা মমিনুর বলেন, “গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার হাটের পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনা উন্নত। সকাল থেকেই পুলিশ পাহাড়ায় আছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম বলেন, “প্রশাসনের লোকজন নিয়মিত হাটে টহল দিচ্ছেন। কারও কাছ থেকে যেন অতিরিক্ত কোন টাকা না নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করছেন।
গরু ক্রেতা রশীদুল ইসলাম লিটন বলেন, এবার হাটে গরু প্রতি প্রায় ৫/৭ হাজার টাকা কম। অতিরিক্ত চাঁদা আদায় রোধে, প্রশাসনের কঠোর নজরদারি রয়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতারা শৃঙ্খলার সাথে গরু, ছাগল কেনা/বেচা করতে পারছেন।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুবেল রানা বলেন, “সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টোল নেওয়া যাবে না, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর কোনো ব্যতিক্রম হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জাল নোট শনাক্তকারী যন্ত্রসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। পরিদর্শন করে দেখেছি এবার “তারাগঞ্জ হাট”- এ ক্রেতা/বিক্রেতা উভয় পক্ষই মনোরম পরিবেশে কেনা/বেচা করতেছে। এই হাটের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কয়েকটি উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কাজ চলামন।