শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
খলিলুর রহমান- নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা তৃতীয় দফা অবরোধেও রংপুরে দূরপাল্লারবাস ও আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাত্রী সংকট থাকায় রংপুর ছেড়ে বাস যায়নি। কাউন্টারে কাউন্টারে ঝুলছে তালা। বাস বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে টার্মিনাল কেন্দ্রীক দোকানপাটও।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রংপুরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল, কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, ট্রাক স্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সারি সারি বাসগুলো দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। যাত্রী না থাকায় খা খা করছে বাসস্ট্যান্ডগুলো। নগরীর কোথাও বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দুপুর ১২টায় রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।
কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় হানিফ পরিবহনের চালক রোস্তম আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, বাস বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই। যাত্রী না থাকায় ভোর থেকে কোনো বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে যায়নি। মানুষ নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অবরোধে বের হচ্ছেন না। এ কারণে যাত্রী সংকট থাকায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ওই বাসস্ট্যান্ডে চা-বিস্কেট বিক্রেতা পুতলু মিয়া বলেন, ‘দিনে দুই থেকে তিন হাজার টাকা বিক্রি করি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ ধরে ৫০০ টাকাও বেচাবিক্রি নেই। অবরোধের দিন পুরো এলাকা জনশূন্য শশান। সকাল থেকে ১০০ টাকাও বিক্রি নেই।’
সকাল ১১টায় রংপুর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে দুই মেয়েকে নিয়ে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের তালেব উদ্দিন। বাস না পাওয়ায় তিনি অটোতেই রওনা হন।
এ সময় আক্ষেপ করে তালেব উদ্দিন বলেন, টিভিত দেকনো ঢাকাত নাকি বাস চলোছে। ওই জন্যে বাসস্ট্যান্ড আসনু। তা এটে আসি তো দেখি সউগ বাস বন্ধ। হামরা ছাড়া কোনো যাত্রীও নাই। এটা কি গাড়ি বন্ধের অবরোধ। এই অবরোধ কদ্দিন থাকবে? বেলা ১টায় ট্রাক স্ট্যান্ডে কথা হয় তাজহাট এলাকার রিকশা চালক হাবিবুর রহমানের সঙ্গে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যে দিন হরতাল অবরোধ হওছে, সেদিন শহরটা ফাঁকা। সকাল থাকি ৮০টাকা কামাই। কাইল কিস্তি আছে ৬০০ টাকা কিন্তু অবরোধে শহরোত মানুষ নাই। কোনঠে থাকি কিস্তি দেইম চিন্তায় বাচুছু না।
রংপুরের পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী বলেন, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমাদের পুলিশি জোরদার বাড়ানো হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।