মঙ্গলবার, ০৩ Jun ২০২৫, ১২:০১ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
জমে উঠেছে রংপুরের ঐতিহ্যবাহী তারাগঞ্জ হাট রংপুরের পীরগঞ্জে ফুটপাত অবৈধ দখল রোধ সেনা অভিযান তারাগঞ্জে ভিজিএফএর চাল বিতরণ শুরু রাণীশংকৈলে বাজার কাঁপাতে প্রস্তুত কালা বাবু পীরগঞ্জে কন্দাল কৃষি মেলার উদ্বোধন ফুলবাড়ী সীমান্তে বিজিবির অভিযানে মাদক উদ্ধার পুলিশের ধাওয়ায় ফেনসিডিল রেখে পালাল মাদক ব্যবসয়ী লক্ষ্মীপুরে ছাত্র হত্যা মামলার আসামী অধ্যক্ষ বশিরের গ্রেপ্তার দাবি ধুনটে পাট চাষীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ মিঠাপুকুরে যৌথবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মাদক সম্রাট আকবর আটক ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলা রেকর্ড না হলে থানা ঘেরাও- মোস্তফা ফুলবাড়ীতে শহীদ জিয়ার ৪৪তম শাহাদৎ বার্ষিকী পালন কুমিল্লায় র‌্যাবের হাতে মাদক ব্যবসায়ী আটক ধুনটে এলাঙ্গী ইউপির ভিডব্লিউবি কার্ডের চাল প্রদান নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেপ্তার-৪ তারাগঞ্জে ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি র‌্যাব-১১, সিপিসি-২’র অভিযানে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার ধুনটে ইসলামী আন্দোলনের জনসভা অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের ত্রিশা‌লে কৃষকদের মা‌ঝে ধানবীজ বিতরণ ফুলবাড়ীতে দুই শত বছরের কবরস্থান রক্ষায় ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া

আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
পাখি তাড়ানোসহ ফসল সুরক্ষায় কাকতাড়ুয়া ব্যবহার আদিকাল থেকে।এক সময় ফসলের মাঠে কাকতাড়ুয়া ব্যবহার ছিল চোখে পড়ার মত। আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাল্টে যাচ্ছে কৃষি চাষাবাদ পদ্ধতি।তবুও নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফসল সুরক্ষায় কৃষকের পরম বন্ধু কাকতাড়ুয়া।

ফসল সুরক্ষায় কাকতাড়ুয়ার ব্যবহার নিয়ে কৃষিভিত্তিক কোন দালিলিক প্রমাণ বা ভিত্তি নেই।প্রবাদ আছে বিশ্বাসে বস্তু মেলে তর্কে বহুদূর।বিশ্বাসের জায়গা থেকে উপজেলার কিছু কৃষক বিভিন্ন ফল ফসলে পাখি, নিশাচর প্রাণী,ইঁদুর তাড়ানোসহ মানুষের কু-দৃষ্টি থেকে রক্ষায় সনাতন পদ্ধতি কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করে আসছেন।

শুক্রবার ২রা সেপ্টেম্বর সরেজমিনে কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে- মাঠের পর মাঠ আমন ধানের ক্ষেত। হঠাৎ দু/একটি ধানের জমিতে চোখে পড়ে কাকতাড়ুয়া। দূর থেকে দেখে মনে হয় কেউ জমিতে দাঁড়িয়ে আছে।এসময় কাকতাড়ুয়া ব্যবহারকারী চাঁদখানা ইউপির নগরবন গ্রামের আরিফ ও পুটিমারী ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের মানিক জানান- ফসল ভাল হলে মানুষ ঈর্ষা করে বিষচোখ বা কু-নজর পড়ে।

এতে ফলন কমে যায়। এ কু-নজর এড়াতে ফসলের মাঠে মানুষের অবয়বে কাকতাড়ুয়া দন্ডায়মান করে রাখা হয়। দুর থেকে দেখলে মনে হয় মানুষ দাঁড়িয়ে আছে।যা প্রথম দর্শনে মানুষের নজর সেখানে আটকে যায়। যা ফসল সুরক্ষা থাকে।পাশাপাশি বিভিন্ন ফল ফসল,বীজতলায় ইঁদুর, পাখ-পাখালি ও নিশাচর প্রাণীর অবাধ বিচরণ রোধে কাকতাড়ুয়া পাহারাদার হিসেবে মানুষের ভূমিকা পালন করে। এরা মানুষ ভেবে ফসলের মাঠে প্রবেশ করতে ভয় পায়।

কিন্তু কালের আবর্তে হারিয়ে যাচ্ছে এ সনাতন পদ্ধতি। এখন কৃষক আধুনিক পদ্ধতির রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করে ফসল চাষাবাদ এবং রোগবালাই দমন করে।তবে পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া সনাতন কাকতাড়ুয়া ব্যবহার করছি ফসল রক্ষার জন্য।কাকতাড়ুয়া আবহমান বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বহন করে। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান,আগে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ছিল না।

তাই কৃষকরা ফসল ফলাতে নানা পদ্ধতি ব্যাবহার করত। এখন বিজ্ঞানের যুগ সবকিছুই আধুনিক হচ্ছে।কৃষির উন্নয়নে নানা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। তবে কাকতাড়ুয়ার মতো সনাতন পদ্ধতিগুলো এখনো কোনো কোনো কৃষক ব্যবহার করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com