শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালি জেলা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালির বাউফলে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের হাতে অন্য একটি মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থীকে এক শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম মোঃ হাসান(১২)। আহত ওই শিশু শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত শিশু শিক্ষার্থীর বাবা মোঃ মফিজ গাজী বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ আবুল বশার বলেন, ‘এ বিষয়ে বুধবার রাতে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে সরেজমিন তদন্তে যাব এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, নাজিরপুর ইউনিয়নের বড় ডালিমা গ্রামে বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসার হেফজ শ্রেণির ছাত্র হাসানের সঙ্গে গতকাল বুধবার সকালে পাশের ছোট ডালিমা গ্রামের সেরাজ বিশ্বাস-লাইজু বেগম নুরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার নুরানী শ্রেণির ছাত্র মোঃ জাকারিয়ার(৭) মধ্যে হাতা-হাতি হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দিন বিকেল চারটার দিকে সেরাজ বিশ্বাস-লাইজু বেগম নূরানী ক্যাডেট মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ আলী আকবর(৪০) বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসায় ঢুকে হাসানকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পর মারে। এতে হাসানের কান দিয়ে রক্ত ঝড়তে থাকে। আহত হাসানকে উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বাইতুন হিকমাহ মডেল মাদ্রাসার শিক্ষক মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার সময় তিনি শৌচাগারে ছিলেন। ডাক-চিৎকার শুনতে পান। পরে দেখতে পান হাসান কাঁদছে, আর আলী আকবর বেড়িয়ে যাচ্ছেন।
আহত শিশু হাসানের বাবা মোঃ মফিজ গাজী বলেন, ‘তার ছেলের অপরাধ থাকতে পারে, তাই বলে আরেক মাদ্রাসার শিক্ষক সন্ত্রাসী কায়দায় তার ছেলেকে মেরে রক্ত ঝড়াবে, এটা কেমন বিচার? এ কারণে তিনি থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে মাদ্রাসা শিক্ষক আলী আকবরের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।