শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালি জেলা প্রতিনিধিঃ
বাবা মায়ের স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হাফেজ মাওলানা হবে। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস সেপটিক ট্যাংকে অঙ্কুরে বিনাশ হল সব আশা। পটুয়াখালীর বাউফলে সেফটিক ট্যাংক থেকে আতিকুর রহমান আতিক(১২) নামের এক মেধাবী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের পাকডাল মুন্সি বাড়ি জামে মসজিদের সেফটিক ট্যাংক থেকে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। আতিক বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের মধ্য জিরাইল গ্রামের সরোয়ার হোসেন সরদার এর ছেলে। সে পাকডাল ফজলুর রহমান দারুল উলুম মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শনিবার ভোরে মাদ্রাসার সহপাঠী ও শিক্ষকরা ঘুম থেকে জেগে আতিকুল ইসলামকে কোথাও দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার অপর এক শিক্ষার্থী ইসমাইল শিক্ষকদের কাছে সেফটিক ট্যাংকে আতিকের লাশ লুকিয়ে রেখে আসার কথা জানায়। সন্ধ্যার পর ওই মসজিদের সেফটিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ইসমাইল (১৮ কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ইসমাইল তার শিক্ষকদের কাছে আতিকুল ইসলামকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু আতিকুলের একার পক্ষে ওই সেফটিক ট্যাংকে লাশ লুকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বাউফল থানার ওসি আরিচুল হক বলেন, আতিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আসল রহস্য বের হবে।