শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এই দিনে আরবের মরুপ্রান্তরে জন্মগ্রহণ করেন। আবার এই দিনেই বিভ্রান্ত মানুষদের পথ দেখিয়ে ৬৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন। সেই হিসেবে আজ ওফাত দিবসও। প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে মা আমিনার কোলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
তওহীদের মহান বাণী নিয়ে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বিশ্ববাসীসহ মুসলিম উম্মাহর আজ আনন্দের দিন। আবার এদিনই তিনি মারা যাওয়ায় একইসঙ্গে এই দিন বিশ্ব মুসলিম উম্মার কষ্টেরও দিন।
দিনটি উপলক্ষে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের সরকারি স্থাপনাগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক দল, মসজিদ ও মাদ্রাসায় দিনটি উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, আলোচনা ও তেলাওয়াতে কোরআন খতমসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করবে।
ইসলাম ধর্মমতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়তের সিলসিলায় শেষ নবী। তিনি পৃথিবীতে এসেছিলেন তওহীদের মহান বাণী নিয়ে। সারা আরব বিশ্ব যখন পৌত্তলিকতায় বিশ্বাস করত, তখন মহান আল্লাহ-তায়ালা তার প্রিয় হাবিব হজরত মুহাম্মদ (সাঃ)কে রহমতস্বরূপ বিশ্বজগতে পাঠিয়েছিলেন।
সবধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খলা ভেঙ্গে মানবসত্বার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছেন তিনি। নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীনদুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে প্রিয় নবী জীবনাদর্শ রেখে গেছেন অনন্তকালের জন্য।