শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৪২ অপরাহ্ন
মনিষা মৌ- মহানগর প্রতিনিধি রংপুরঃ
রংপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জ, মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।
এ সময় পুষ্পমাল্য অর্পনের মদ্যদিয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রংপুরের সর্বস্তরের মানুষ। পালন করেন এক মিনিট নিরবতা। পরে শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ হাবিবুর রহমান, পুলিশ কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ পুলিশ রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মোঃ মাহাবুবর রহমান মঞ্জু, সচিব মোছাঃ উম্মে ফাতিমা, সাধারণ শাখা প্রধান মোঃ জাহাঙ্গীর কবীর শান্ত, ডেপুটি সিভিল সার্জন মোঃ রুহুল আমীন, বিভাগীয় লেখক পরিষদের সভাপতি কাজী মোঃ জুন্নুন ও বিশিষ্ঠ সমাজ সেবক ফখরুল আনাম বেঞ্জুসহ বিভিন্ন সরকারী, বে-সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এদিকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে দশটায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও শিশু-কিশোরদের বিষয় ভিত্তিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এতে অতিথি হিসেবে রংপুর বিভাগীয়, জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি ও তাদের দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশুন্য করতে বাঙ্গালী জাতির বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, প্রকৌশলী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ মেধাবী সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা ও গুম করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বাঙ্গালি জাতির ইতিহাসে একটি হৃদয় বিদারক ও মর্মস্পর্শী দিন।
অন্যদিকে দিবসটি উপলক্ষে শহীদদের স্মরণে জেলার বিভিন্ন মসজিদে বাদ যোহর এবং মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপসানলয়ে সুবিধাজনক সময়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচির পালন করেন জেলা প্রশাসন।