শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৫২ পূর্বাহ্ন
আরিফ শেখ- অনুসন্ধানী প্রতিবেদকঃ
রংপুর তারাগঞ্জের সয়ার ইউপি‘র কাংলাচরার বধু ছবিতা রানীকে হত্যার ঘটনায় (১৪ মে)-২৩ইং তারাগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছিল, মামলা নং-১০। উক্ত মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী মানিক চন্দ্র রায়(৩৮) সহ সকল আসামী পলাতক ছিল। গঙ্গাচড়া থানার বাগপুর এলাকার হরিপদ রায়ের বাড়ি থেকে ঘাতক স্বামীসহ অপর ২ আসামী সিদ্ধার্থ রায়(৩৫) ও দ্রপদী রানী(৫২)‘কে কাংলাচরার নিজ বাড়ি থেকে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গত (১৪ মে)-২৩ইং তারাগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়, পরে (১ আগষ্ট)-২৩ইং যৌতুকের জন্য হত্যা এমন অভিযোগ এনে আরও একটি মামলা হয়(মামলা নং-২)। বাদী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১ ক/৩০, সহ ২০১ ধারায় বোন জামাই মানিক রায়, শ্বাশুড়ি দ্রপদী ও সিদ্ধার্থ রায়সহ আরও কয়েক জনের উপর অভিযোগ এনে আসামী করেন।
জানা যায়, ছবিতার স্বামী পরিবার ২ লক্ষ টাকা যৌতুক না পেয়ে তাকে হত্যা করে তার শয়ন কক্ষে ঝুলিয়ে রাখে। অভিযোগে বলা হয়েছে ঘটনার দিনগত রাতে ছবিতার স্বামী(মানিক) মুঠোফোনে ছবিতার ভাইকে ছবিতার অজ্ঞান হওয়ার কথা বলেছিল। অথচ ছবিতার স্বজনরা ও পুলিশ গিয়ে ঘরের তীরে ঝোলানো অবস্থায় ছবিতার লাশ উদ্ধার করে। এবং লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় আসামিরা আত্মগোপন করেই ছিল।
উল্লেখ্য যে, মামলার প্রধান আসামী মানিক এতোদিন ছদ্মবেশে গঙ্গাচড়ায় ফল বিক্রি করতো। অপর দুই আসামী বিভিন্ন কৌশলে আত্মগোপনে ছিলো। তারাগঞ্জ থানায় নব-যোগদানপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ(পিপিএম)‘র নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আজমল হোসনের নেতৃত্বে এস আই আসাদুজ্জামান আসাদ, এ এস আই রায়হান সরকার ও সঙ্গীও চৌকুুস একটি দল আসামীদের আটক করে।
তারাগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, আলোচিত হত্যা মামলাটির ৩ আসামীকে গ্রেফতারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও এজাহারভূক্ত অন্যান্য আসামী গ্রেফতার চেষ্টা চলমান আছে।