শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
আবীর আকাশ- লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি.
লক্ষ্মীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় এক’শ বছরের পুরনো বাড়ির চলাচলের রাস্তা আউলিবড়া দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে জোতদাররা। এই নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসলেও তাতে পাত্তা দিচ্ছেন না জোতদার ফারুক ও জহিরগংরা। সদরের টুমচর এলাকার রমিজ উদ্দিন পাটোয়ারী বাড়ির আব্দুর রহিমের মেয়ে সালমার সাথে কাদির মাস্টার বাড়ির জহিরুল ইসলামের স্ত্রী কুলসুমার সাথে বাচ্চাদের মধ্যে খেলার তুচ্ছ খুনসুটি নিয়ে তর্ক বিতর্ক বাঁধে। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে জহিরের স্ত্রী কুলসুমা রাগে ক্ষোভে ঝাড়ু হাতে তেড়ে এসে সালমার বাবা আব্দুর রহিমকে বাড়ি দিতে যায়। এই নিয়ে হট্টগোল বেঁধে যায়।
খবর পেয়ে কুলসুমার স্বামী জহিরুল ইসলাম রাগে ক্ষোভে অগ্নি মূর্তি হয়ে বাড়িতে এসে অত্যন্ত বিশ্রী ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে রমিজউদ্দিন পাটোয়ারী বাড়িতে থাকা প্রায় ৩০ পরিবারের শতাধিক মানুষের এক’শ বছর পূর্বের চলাচলের রাস্তা কাঁটা বাঁশর আওলিবেড়া দিয়ে বেঁধে দেয়।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবারে স্থানীয় মসজিদের সভাপতি মনির হোসেন সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আপোষ মীমাংসার লক্ষ্যে সালিশ বৈঠকে বসলেও জহিরের চাচাতো ভাই কাদের মাস্টারের ছেলে ফারুক মা বোন তুলে বৈঠকে বসেই অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এ নিয়ে একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ফারুক আইন বিচার সালিশ কিছুই মানে না। শালিসদারকেও হেয় প্রতিপন্ন করে বৈঠক থেকে উঠে যাওয়ার সময় হুমকি-ধামকি দিতে থাকে।
চলাচলের একমাত্র রাস্তা আওলিবেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় রমিজ উদ্দীন পাটারি বাড়ির শতাধিক মানুষ স্কুল কলেজ মসজিদ কিবা হাটে বাজারে যেতে পারছে না। এই নিয়ে জহিরের পিতা খোকন বলেন তুচ্ছ দরকার একপর্যায়ে আমরা রাস্তা বন্ধ করে দিই তবে এই রাস্তা দিয়ে রমিজ উদ্দিন ফাটারি বাড়ির মানুষ ১০০ বছর ধরে চলাচল করেছিল এটা সত্য।
শালিসদারদের একজন মনির হোসেন বলেন, আমরা আপস মীমাংসার জন্য আজ সকালে বসেছি। কিন্তু আপস মীমাংসা করতে পারিনি।
ভুক্তভোগী মোঃ রুবেল বলেন, আমার বাপ দাদা হিজারাও এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করেছে। গত তিনদিন ধরে শিশুদের কি এক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আউলি বেড়া দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। আমরা এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না।
এই নিয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মোনাফ বলেন এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ ফেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।