শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
শহীদ হাসান- সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধিঃ
শান্ত কলারোয়া উপজেলাকে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল বলে জানা গিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, উপজেলা জামে মসজিদের সভাপতি ক্ষমতা বলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ইউএন ভিন্নধর্মী রুলি বিশ্বাস সনাতন ধর্ম অবলম্বী হয়ে এই উস্কানি আরো তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করতে যাচ্ছে।
খতিব মতিউর রহমান বলেন- ১২ই রবিউল আউয়াল ইসলাম ধর্মের শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) জন্মদিন ও এই দিনই মৃত্যুবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে উপজেলা জামে মসজিদে একটি অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা বিষয়ে জামে মসজিদের খতিব ফোন দেন ইউএনও মহোদয়কে।
প্রথম কলের শেষ হবার দুই তিন মিনিট পরে ইউএনও আবারো ফোন করেন খতিবকে। এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বিষয়টি দুবারে একবারও সালাম বিনিময় করেননি খতিব।
কড়া ভাষায় জবাব চাইলে খতিব বলেন- তার খেয়াল ছিল না বলে আমি ক্ষমা চাচ্ছি। এর ১০ দিন পরে এই বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাথে একটি মিটিংয়ে এই কথাটি ইউএনও তুলে ধরেন এবং বলেন একজন খতিব বা ইমাম তিনি প্রতিনিয়ত ইসলামের আলাপ আলোচনা নিয়ে থাকবেন।
তিনি কিভাবে সালাম দিতে ভুল করেন। জুম্মার দিন মুসলমানদের শিক্ষনীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। নিজেই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ সালাম দিতে পারেন না বা ভুলে যান, মহিলা বলে অবজ্ঞা করেন তার কাছ থেকে মুসল্লীরা কি শিখবে এই বলে তাকে চাকরিচ্যুত করে দিবেন বলে জানান।
এই বিষয়ে কথা বলার পর পরই তাকে খতিবকে মিটিং থেকে চলে যেতে বলেন।
সম্পূর্ণ কথাটি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিডিও করে নেন খতিব এবং সেই ভিডিও আলাপ-আলোচনা খতিব ধারণ করেন।
এই কথোপকথন এবং বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা প্রচারের ফলে ধর্মীয় সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে সরকারি বিরুদ্ধে কিছু দল ব্যক্তি এখন মাঠে নেমেছে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের জন্য। বিভিন্ন অনলাইন ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে এই বিষয়টি নিয়ে তুলকালাম সৃষ্টির লক্ষ্যে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ এবং আন্দোলনের নামার জন্য বিভিন্ন রকম উদ্বুদ্ধ করছে ।
এ বিষয়ে কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাসের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
শুক্রবার জুম্মার দিন উপলক্ষে কলারোয়া উপজেলা পুলিশ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতন এবং শৃঙ্খলা বুজিয়ে রাখার জন্য কলারোয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজর রেখেছে কোনরকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দেবে না বলে জানা গিয়েছে।
এই বিষয়ে খতিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়টি কর্মকর্তা ও কর্মচারীর মধ্যের বিষয়, কোন ধর্মীয় অনুভূতির আঘাত হানার জন্য নয়।আমি জেলা কর্মকর্তার নিকটে এই বিষয়ে সুবিচারের দাবিদার। এবং কোন দল বা গোষ্ঠী আমলে নিবেন না এবং আমলে নিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করবেন না।
যদিও কেউই করেন তাহলে সে-ই দায়ী থাকবেন।