শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৪৭ অপরাহ্ন
মাজেদুর রহমান- রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
যৌন কার্যকলাপের জন্য রাজশাহী থেকে ঢাকয় পাচার হওয়ার তিন দিনের মধ্যে চার স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক পাচারকারী নারী সদস্য চাঁদনীকে(৩০) গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত নারী রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানাধীন কোর্ট বুলনপুর এলাকার সুরুজ আলীর স্ত্রী। তবে সে মহানগরীর মহিষবাথান এলাকার বাসিন্দা।
উদ্ধারকৃত স্কুল শিক্ষার্থীরা হচ্ছে- রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান উত্তরপাড়া এলাকার রাজনের মেয়ে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তিশা(১৩), একই এলাকার শাহজামালের মেয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরজু খাতুন(১৪), বাবলুর মেয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাকিলা এবং বাদশার মেয়ে হালিমা খাতুন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়- গত ২৬শে জুলাই সকালে এই চার স্কুল শিক্ষার্থী স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। এরপর বিকেল হয়ে গেলেও তারা বাড়ী ফিরে না আসলে তাদের অভিভাবকরা খোঁজ খবর নেওয়া শুরু করে।
এর একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাদের জানায়- চাঁদনী নামের এক নারীসহ ওই চার স্কল শিক্ষার্থীকে মহিষবাথান কলোনীর উত্তর পার্শ্বে গেট দিয়ে যেতে দেখেছে।
পরবর্তীতে চাঁদনীর স্বামীর কাছে গিয়ে জানতে পারে চাঁদনী কাউকে না জানিয়ে প্রায় সময় ঢাকায় যায় এবং ১০-১২ দিন পর আবার ফিরে আসে। তখন চাঁদনীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এসময় কিশোরীদের অভিভাবকদের ধারণা আসামি চাঁদনীসহ তার সহযোগিরা তাদের পাচার এবং যৌন কার্যকলাপের জন্য নিয়ে গেছে। এরপর এক কিশোরীর পিতার এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাজপাড়া থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।
যার প্রেক্ষিতে থানার একটি টিম শুক্রবার ২৯শে জুলাই দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঢাকার সাভার পূর্ব রাজাসন এলাকা থেকে আসামি চাঁদনীকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়াও তার হেফাজত থেকে ওই চার স্কুল শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মোঃ রফিকুল আলম শুক্রবার বিকেলে জানান- জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি যৌন কার্যকলাপের জন্য স্কুল শিক্ষার্থীদের পাচারের কথা স্বীকার করেছে।
আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। আর আইনি প্রক্রিয়া শেষে উদ্ধারকৃত ওই চার স্কুল শিক্ষার্থীকে তাদেরকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।